কাশ্মীরবাসীকে উস্কে দিতে পাকিস্তান ভারত–বিরোধী বার্তা ছড়াচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টকে জানালো কেন্দ্র
কাশ্মীরবাসীকে উস্কে দিতে পাকিস্তান ভারত–বিরোধী বার্তা ছড়াচ্ছে
জম্মু–কাশ্মীরের নাগরিকদের উস্কে দিতে উপত্যকার সীমান্তে শুরু হয়েছে সাইবার যুদ্ধ। মঙ্গলবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টকে। জম্মু–ককাশ্মীরে ৩৭০ ধারা উঠিয়ে দেওয়ার পর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র জানিয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ভারত–বিরোধী বিষয়গুলিকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবারের শুনানির সময় কেন্দ্রের হয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান, পাকিস্তান সেনা তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে উপত্যকার বাসিন্দাদের উস্কে দেওয়ার জন্য ভারত–বিরোধী আবেগকে ব্যবহার করছে। তিনি জানান, কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ এই ইন্টারনেটের মধ্য দিয়ে সহজেই জিহাদি বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। তুষার মেহতা আদালতকে বলেন, 'বর্তমানে ইন্টারনেটের মধ্য দিয়েই জিহাদ ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যবশত ইন্টারনেট জিহাদি তাতে সফলতাও পাচ্ছে। এই সমস্যা বিশ্বব্যাপী। জিহাদি নেতারা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং অবৈধ কার্যকলাপ করছে।’ তিনি আরও বলেন, 'ইন্টারনেট ব্লক করে দেওয়াই সবচেয়ে শ্রেয় হবে এবং এভাবেই ডার্ক ওয়েবে জঙ্গি কার্।কলাপ রোধ করা যাবে। হোয়াটস অ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য অ্যাপের মধ্য দিয়ে জিহাদি বার্তা ছড়াচ্ছে। আইন–শৃঙ্খলা রোধে সরকারের সমস্যা হ্রাস পেয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে যে ইন্টারনেটের পাশাপাশি তাহলে সংবাদপত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। সে প্রসঙ্গে তুষার মেহতা জানান, ইন্টারনেটের থেকে আলাদা সংবাদপত্র। এক পক্ষের যোগাযোগ মাধ্যম সংবাদপত্র। তিনি জানিয়েছেন, জম্মু–কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরবাসী এখনও ঠিকমতো ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন না। তারওপরও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
নিকাশির জলে তৈরি বিয়ার, বিক্রি বাড়ছে হু হু করে