সন্ত্রাসবাদ আদতে ক্যানসারের মতো, নাম না করে পাকিস্তানকে ঠুকলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর
সন্ত্রাসবাদ একধরনের ক্যানসার। যা পুরো মানব জাতিকে প্রভাবিত করে। যেভাবে একটি প্যানডেমিক গোটা মানব জাতিকে প্রভাবিত করেছে, ঠিক সেভাবেই সন্ত্রাসবাদও এমন এক ধরনের ক্যানসার যা সবাইকে প্রভাবিত করে। 'দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট'-র এক ভাষণে আজ একথা বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সন্ত্রাসবাদ ও প্যানডেমিক ছড়াচ্ছে বিশ্বে
দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের ওই ভাষণে জয়শঙ্কর বলেন, 'সন্ত্রাসবাদ ও প্যানডেমিক নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া কেবল তখনই উদ্ভূত হয়েছে যখন কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার দ্বারা পর্যাপ্ত বাধার সৃষ্টি হয়েছে।' এই বিষয়ে তাঁর সংযোজন, 'যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদীদের তৈরি করে তারাও নিজেদের সন্ত্রাসের শিকার হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে।'
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বিশ্ব
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, 'সন্ত্রাসবাদ ও যারা এটিকে সমর্থন ও সহায়তা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।' সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী কাঠামো নিষিদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত বলেও মনে করেন বিদেশমন্ত্রী।
সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে ভারত-চিন সম্পর্ক
এদিকে ভারত-চিন সম্পর্কের বর্ণনা দিতে গিয়ে আগের দিন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ১৯৬২ যুদ্ধের পর সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। চিনা আগ্রাসন নীতির জেরে কার্যত তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে ক্রমশ ঘনিয়ে এসেছে যুদ্ধের পরিস্থিতি। আর জয়শঙ্করের কথায় ফুটে উঠল সেই আশঙ্কাই।
১৯৬২ যুদ্ধের পর নিশ্চিতভাবে এটাই সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতি
একটি সাক্ষাৎকারে এস জয়শঙ্কর বলেন, ১৯৬২ যুদ্ধের পর নিশ্চিতভাবে এটাই সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক। ৪৫ বছরে এই প্রথমবার সীমান্তে আমাদের সেনা শহিদ হয়েছেন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের তরফে যে বিপুল সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেটাও এই প্রথমবার।'
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে চিনের সেনাকে পিছু হটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কূটনৈতিক স্তরে দীর্ঘ আলোচনার পর খুব অল্প জায়গাতেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ভারত চিনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা দুই দেশের সম্পর্কের মূল শর্ত।'
আরও ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসবে কংগ্রেস, গান্ধী বিরোধিতার সুর চড়াচ্ছেন সিব্বল-আজাদ!