অমাবস্যার রাতে কাশ্মীর সীমান্ত কীভাবে হেঁটে পার করে জঙ্গিরা! নাগরোটাকাণ্ডের হাড়হিম করা কিছু তথ্য
নাগরোটা এনকাউন্টারের সঙ্গে বারবার পাকিস্তান যোগ প্রমাণিত হতে শুরু করেছে। এনকাউন্টারে নিহতরা যে আসন্ন ২৬/১১ এর বার্ষিকীতে ভারতের বুকে আরও এক নৃশংস হত্যালীলা চালানোর পরিকল্পনাতে ছিল, তা ইতিমধ্যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। এরপরও পাকিস্তানে জঙ্গি শিবিরের ট্রেনিং সম্পর্ক গায়ে কাঁটা দেওয়া তথ্য প্রকাশ্যে আসছে।
নিহত জইশের কাশিমকে কেন খুঁজছিল নিরাপত্তা বাহিনী?
নাগরোটা এনকাউন্টারে নিহত জইশ জঙ্গিদের কাশিম জানকে বহুদিন ধরে খুঁজছিল ভারতীয় সেনা। পাঠানকোট হামলায় এই পাকিস্তানি জইশ জঙ্গির নাম ছিল। হামলার অন্যতম মূল চক্রী ও দক্ষিণ কাশ্মীরের জইশ অপরেটিভ হিসাবে এই কাশিম কুখ্যাত। এই জঙ্গি নিধনের সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক হাড়হিম করা তথ্য উঠে আসতে শুরু করে।
রাতের অন্ধকারে পায়ে হেঁটে ৩০ কিলোমিটার পার!
জইশের
পাকিস্তানে
অবস্থিত
সকেরগড়
ক্যাম্প
সাম্বা
সেক্টর
থেকে
৩০
কিলোমিটার
দূরে।
সাম্বার
মাওয়া
গ্রামের
পথে
এই
জঙ্গিরা
মূলত
অনুপ্রবেশ
করে।
নাগরোটা
এনকাউন্টারের
তদন্তে
জানা
গিয়েছে,
জঙ্গিরা
ওই
ক্যাম্প
থেকে
৩০
কিলোমিটার
রাস্তা
অমাবস্যার
রাতে
পার
হয়েছে।
যাতে
ভারতের
বাহিনির
চোখে
না
পড়ে
তারা।
এই
প্রশিক্ষণ
পাকিস্তানি
জঙ্গি
শিবিরের
নিশান
রেখে
যায়।
নোনাথ নালার কাছ থেকে জঙ্গিদের কোন স্ট্র্যাটেজি ছিল?
তদন্তকারীদের মতে , পাকিস্তান থেকে ৩০ কিলোমিটার হেঁটে ওই জঙ্গিরা পিক আপ পয়েন্টের কাছে আসে। সেখান থেকে, তারা নোনাথ নালার কাছ থেকে ট্রাক ধরে নেয়। তারপরই ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা পার করতে পারে।
জইশ প্রবলভাবে সক্রিয়, ১৪ জঙ্গি প্রস্তুত
জইশ পিওকেতে প্রবলভাবে সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলে খবর। পাকিস্তানে জইশের ১৪ জন জঙ্গি গুজরানওয়ালা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর। এছাড়ও ২০০ জন জঙ্গি পিওকে জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে নিজেকে তৈরি করছে। এের অনেকেরই জঙ্গলে প্রশিক্ষণ চলছে । বহু জঙ্গি আপাতত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে খবর গোয়েন্দা সূত্রে।