পাকিস্তান নৌপথে মধুচক্রের জাল বিছিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে! এনআইএ রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য
গত ডিসেম্বরে নৌপথে মধুচক্রের পরিধি ক্রমাগত বাড়িয়ে পাকিস্তানের আইএসআই -র গুপ্তচরবৃত্তির খবর প্রকাশ্যে আসে। আর সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে এনআইএ বড়সড় তথ্য হাতে পেয়েছে। ইসলামাবাদের গোপন ফন্দির একাধিক তাক লাগানো তথ্য হাতে এসেছে এনআইএ-র।
অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের জালে কারা?
গত ডিসেম্বর মাসে ১০ জন নাবিককে গ্রেফতার করে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। এই ধৃতদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর খবর প্রকাশ্য়ে আসে। আর তা হতেই ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েছে।
পাকিস্তান কোনপথে চালাচ্ছে গুপ্তচর বৃত্তি
জানা গিয়েছে, ওই নাবিকদের আকৃষ্ট করতে পাকিস্তান মধুচক্রের সাহায্য নিয়েছে। আর পাকিস্তানি গুপ্তচর এজেন্সির কিছু নামী মহিলাকর্মীদের একই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই মধুচক্র চলেছে। মূলত, এই মধুচক্রের খপ্পড়ে পড়েন ভারতীয় সেনার বহু অফিসার। যদিও সাম্প্রতিককালে ধৃত নৌ অফিসারের কাছ থেকে পাকিস্তান খুব একটা বড় কিছু তথ্য হাতিয়ে নিতে পারেনি।
কত টাকার বিনিময়ে এমন মধুচক্রের ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে?
মাত্র ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই নাবিকদের পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা করানোর চেষ্টায় রয়েছে আইএসআই। এক হাওলা ডিলারের মাধ্যমে চলছে এমন টাকার অঙ্কের বিনিময়। আর তা উঠে এসেছে এনআইএ তদন্তে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের সেই মধুচক্রকাণ্ডে নৌসেনা অফিসারের গ্রেফতারি নিয়ে অফিসারদের একাধিক বার্তা দিয়েছে নৌ সেনা।