পাকিস্তান ৪ বছর পর বাদ এফএটিএফের ‘ধূসর তালিকা’ থেকে, কেন এমন সিদ্ধান্ত
পাকিস্তান এসটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বাদ পড়ল চার বছর পর। মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থতার জন্য ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখা হয়েছিল।
পাকিস্তান এসটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বাদ পড়ল চার বছর পর। মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থতার জন্য ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখা হয়েছিল। প্যারিসের বিশ্বব্যাপী নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকা থেকে অবশেষে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পাকিস্তানকে।
পাকিস্তান ছাড়াও নিকারাগুাকেও ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, তানজিনিয়া এবং মোজাম্বিককে তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল। এবার এফএটিএফের কালো তালিকায় যুক্ত করা হল মায়ানমারকে। এক বিবৃতিতে এফএটিএফ বলেছে যে পাকিস্তানি মানি লন্ডারিং রোধে এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশের ধূসর তালিকা বাদ পড়া তার অন্যতম কারণ।
এফএটিএফের সভাপতি টি রাজা কুমার জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে তারা ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তবে তাদের পক্ষ থেকে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। পাকিস্তান আর এফএটিএফের বর্ধিত পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার অধীন নয়। এটি তার অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ও কাউন্টার টেররিস্ট ফাইন্যান্সিং সিস্টেমকে আরও উন্নত করতে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনকে অর্থায়ন করছে বলে ভারতের বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও এই আদেশ এল। অর্থের তছরূপ এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের মোকাবিলায় এর আইনি, আর্থিক, নিয়ন্ত্রক, তদন্ত, বিচার বিভাগীয় এবং বেসরকারি খাতে ঘাটতিগুলি পাকিস্তানকে ২০১৮ সালের জুন মাসে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। একটি ২৭ দফা কর্ম পরিকল্পনার অধীনে পাকিস্তান এই ত্রুটিগুলি সমাধানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অ্যাকশন পয়েন্টের সংখ্যাপরে ৩৪টি সংশোধন করা হয়েছিল।
এই বছরের জুন মাসে ৩৪টি অ্যাকশন পয়েন্টে এফএটিএফ দ্বারা পাকিস্তানকে এ ব্যাপারে অনুগত হিসেবে দেখা গিয়েছে। এসটিএফ এবং এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ সিডনিতে সদর দফতরের একটি আঞ্চলিক সহযোগী হিসেবে ২৯ অগাস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটি যৌথ ১৫ সদস্যের মিশন পাকিস্তানেক পাঠিয়েছে। ৩৪ দফা কর্ম পরিকল্পনার প্রতি পাকিস্তানের আনুগত্য পরিদর্শন করার জন্য যা এফএটিএফের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।
চার বছরের বেশি সময় ধরে ধূসর তালিকায় থাকার কারণে নগদ অর্থ সংকটে পড়া পাকিস্তান আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, এশীল উন্নয়ন ব্যাঙ্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাঙ্ক, ইন্টারপোল ও একমন্ট গ্রুপ অফ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-সহ ২০৬টি এফএটিএফের সদস্য এবং পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিরা প্যরিসে ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
গুগলকে ১৩৩৭ কোটি টাকা জরিমানা কেন্দ্রের, ভারতের সিদ্ধান্তের পাল্টা 'জবাব’