লাদাখের পর কাশ্মীরেও চিনের নজর! বেজিংয়ের নির্দেশে ভূস্বর্গে কোন গোলমালের মতলবে আইএসআই
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি চিনের৷ গোয়েন্দাদের রিপোর্ট উল্লেখ করে একটি সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে , ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বাড়িয়ে তোলার জন্য পাকিস্তানকে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলা বারুদ পাঠানোর নির্দেশ দিচ্ছে চিন৷

আইএসআই-কে নির্দেশ বেজিংয়ের
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সম্প্রতি সীমান্ত অঞ্চলে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী যেসব অস্ত্র উদ্ধার করেছে তার ভিত্তিতে এই দাবি করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ৷ শুধু তাই নয়, যে অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগেই চিনের মার্ক রয়েছে৷

কাশ্মীরে অস্ত্র পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, হিংসা বাড়ানোর জন্য পাকিস্তান জঙ্গি বা অস্ত্র কোনওটাই পাঠাতে পারছে না। শীতকাল শুরু হওয়ার আগেই কাশ্মীরের বেশিরভাগ অঞ্চলে অস্ত্র পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই রিপোর্টের পর থেকে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী বাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসি বরাবর অনুপ্রবেশবিরোধী গ্রিডকে আরও শক্তিশালী করেছে।

কড়া নজরদারি কাশ্মীরে
সেনা প্রধান এম এম নারাভানে থেকে শুরু করে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স প্রধান রাকেশ আস্থানা এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স প্রধান এ পি মহেশ্বরী-সকলেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং সরকারকে তাঁদের মতামত জানাতে গত ১০ দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীর সফর করেছেন।

উপত্যকায় স্থানীয় নিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে
গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উপত্যকায় স্থানীয় নিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ সরকারি তথ্য অনুসারে , ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী চিনা সংস্থা নরিনিকো দ্বারা উৎপাদিত ইএমইআই টাইপের ৯৭ এনএসআর রাইফেলগুলি উদ্ধার করেছে। এই অস্ত্রটি চিনা সেনারা ব্যবহার করে এবং সম্প্রতি সিপেক কো-অপারেশনের অংশ হিসাবে পাকিস্তান সীমান্ত বাহিনীকে উপহারও দিয়েছিল।

যেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেখানে চিনের মার্ক
গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে , দু'দিন আগে নিরাপত্তাবাহিনী দ্বারা যেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেখানেও চিনের মার্ক রয়েছে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জম্মু থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরে যাওয়ার সময় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷ তাদের কাছ থেকে একটি চিনা টাইপের ৯৭ এনএসআর রাইফেল, চারটি ম্যাগাজিন, এ কে ৪৭ রাইফেল-সহ চারটি ম্যাগাজিন এবং তিনটি গ্রেনেড ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে৷

উপত্যকার ছয়টি জায়গায় নতুন করে তল্লাশি
এদিকে কাশ্মীর উপত্যকার ছয়টি জায়গায় নতুন করে তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এলওসি বাণিজ্য মামলার তদন্তের যোগসূত্রেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তল্লাশি অভিযানের সময় মহম্মদ ইকবাল লোন ও খুরশিদ আহমেদ লোনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। উভয়েই কাশ্মীরের পারিম্পোরা এলাকার বাসিন্দা।
বাংলায় প্রভাব বাড়ছে এআইএমআইএম-এর, ২১-এর আগে বিহার ভোটে সেমিফাইনাল খেলবেন ওয়েইসি