ফের ৩৭০ ধারার ছ্যাকা! জ্বালা ভুলতে কাশ্মীরি বিচ্ছিনতাবাদে ইন্ধন যোগাতে পাক পদক্ষেপ
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি ঘনিয়ে আসতেই যেন পাকিস্তানের শরীরে বড় বড় ছ্যাকা পড়ছে। আর সেই জ্বালা থেকে নিস্তার পেতে কাশ্মীরি বিচ্ছিনতাবাদী সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়ার ঘোষণা করল পাকিস্তান। এই ঘোষণা কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির এক সপ্তাহ আগে করা হল।
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের একবছর পূর্তি
আগামী ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া সহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের একবছর পূর্তি। আর সেই দিনই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যাবে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে কাশ্মীর দিবস পালন করবেন তিনি। তার আগে জমি তাতিয়ে রাখতে একের পর এক গেমপ্ল্যানে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান চিনকে পাশে পেয়েছে
ভারতের বিরুদ্ধে চিরকালই পাকিস্তান চিনকে পাশে পেয়েছে। এমন অবস্থায় লাদাখ ইস্যুতে পরিস্থিতি তেতে থাকায়, আগুনে আরও ঘি ঢালার সুযোগ পেয়েছে আইএসআই। এবার আইএসআই বিশ্বের একাধিক দেশকে ভারতের বিরুদ্ধে তাতিয়ে নিতে ১৮ পয়েন্ট গেমপ্ল্যান তৈরি করেছে। যা পিওকেতে 'কাশ্মীর ডে' পালনের আগেই বাস্তবায়িত করতে চাইছে ইমরান সরকার।
ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব পাকিস্তান
উল্লেখ্য, চিন ছাড়াও, মালয়েশিয়া ও তুরস্ককে কাশ্মীর ইস্যুতে পাশে চাইছে পাকিস্তান। এর আগে মালয়েশিয়া কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লির সমালোচনায় নামলে, দিল্লি অর্থনৈতিক একাধিক দিক মালয়েশিয়ার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে বিপাকে পড়ে মালয়েশিয়া। সেই সুযোগে মালয়েশিয়াকে আবেগতাড়িত সমর্থন যোগায় ইমরান। দিল্লি মালয়েশিয়ার পাম তেল আমদানী বন্ধ করলেও, কতা কিনে নেয় পাকিস্তান। এরপর থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে মালয়েশিয়া ও তুরস্ককেও পাশে চাইছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানে ইমরান সরকার কোণঠাসা হতে থাকে
কাশ্মীরে মোদী সরকার ৩৭০ ধারা তুলে নিতেই পাকিস্তানে ইমরান সরকার কোণঠাসা হতে থাকে। কারণ পাকিস্তানে রাজনৈতিক ইস্যু বলতে রয়েছে শুধুই কাশ্মীর। আর সেই ইস্যুতে ইমরান ব্যকফুটে যেতেই, মরিয়া হয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভারতের প্রবল ক্ষুরধার কূটনীতি ইমরানদের বারবার মাত দিয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশ, ইসলামিক দেশের গোষ্ঠী সহ একাধিক দেশের সঙ্গে ভারত বিরোধিতার রাস্তা খোলা রেখে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে হবে। যার জেরে বিশ্বের চাপে ভারত পড়ে যায় কাশ্মীর ইস্যুতে। এমনই একাধিক পরিস্থিতি নজরে রাখছে দিল্লি।