পাক JIT ভারতে গিয়েছে বলেই NIA পাকিস্তান যাবে তার কোনও মানে নেই: পাক হাইকমিশনার
নয়াদিল্লি, ৮ এপ্রিল : পাঠানকোট কাণ্ডে এনআইএ-র পাক সফরেও যে আপত্তি রয়েছে বৃহস্পতিবার তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিত। পাঠানকোট কাণ্ডে ভারতীয় এনআইএ তদন্তকারীদের পাকিস্তানে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও তদন্তের অনুমতি দিচ্ছে না পাক সরকার। ফলে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নিয়ে ফের একবার ধোঁয়াশা।
পাকিস্তানে এনআইএ তদন্তকারী অফিসারদের গিয়ে তদন্ত করার জন্য পাক অনুমতি না মিললেও কেন্দ্রীয় ভারত সরকার কিন্তু আইএসআই এক আধিকারিক-সহ পাক আধিকারিকদের একটি তদন্তকারী দলকে পাঠানকোটের সেই বায়ুসেনা ছাউনিতে গিয়ে তদন্ত করার অনুমতি দেয়, যেখানে গত জানুয়ারি মাসে জঙ্গি হামলায় ৭ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়। [ 'পাঠানকোট জঙ্গি হামলা ভারতেরই কীর্তি', এমনটাই দাবি পাকিস্তানের]
ভারতে পাক তদন্তকারীদের অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়তে হয় মোদী-সরকারকে। এর পর পাকিস্তানের তরফে ভারতীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের দেশে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায় সেই বিতর্কের আগুনেই ঘি পড়ল।
সরাসরি না বললেও বাসিত বলেন, "পাকিস্তানি তদন্তকারী দল ভারতে গিয়েছে বলেই যে পাকিস্তানে এনআইএ-র আধিকারিকরা আসবেন এবং তদন্ত করবেন এমনটা নয়।" এর পর সরাসরি বসিতকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার বক্তব্যের উপসংহার আপনারা নিজেদের মতো করে টানতে পারেন।
পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ প্রত্যুত্তরে জানিয়েছেন, "পাকিস্তানের জয়েন্ট ইনভেসটিগেশন টিম বা জেআইটি ভারতে এসেছিল কারণ দুই সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের আলোচনার পর তা ঠিক করা হয়েছিল। তাতে পারস্পরিক কার্যকলাপের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ পাক তদন্তকারীরা যেমন ভারতে এসে তদন্ত করবেন তেমনই ভারতীয় তদন্তকারীরা পাকিস্তানে গিয়ে তদন্ত করবে।"
তিনি আরও বলেন, আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা, আমরা আমাদের তরফে সৎভাবেই মুখ্য ভাবনার উপর দৃঢ় রয়েছি। পাক জেআইটি আশ্বাস দিয়েছিল তদন্তে ভারতকে সমস্তরকম সাহায্য করবে তারা। জেআইটিকে জানানো হয়েছিল, এনআইএ দল খুব শীঘ্রই তদন্তের স্বার্থে পাকিস্তানে যাবে।
কিন্তু পাক হাইকমিশনারের মন্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেকটাই ব্যাকফুটে নিয়ে গেল। জাতীয় রাজনীতিতে পাকিস্তান-নীতি নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তানের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নমনীয় মনোভাবই এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিরোধীরা।