মোদীর বিদেশনীতিতে কাবু পাকিস্তান! মুসলিম বিশ্বে ভারতের জয়জয়কার দেখে ফুঁসছেন ইমরান
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনীতিতে রীতিমতো কাবু পাকিস্তান। বিশেষত মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গদিতে বসার পর মুসলিম বিশ্বে ভারতের গ্রহণ যোগ্যতা বেড়েছে তড়তড়িয়ে। গত ৬ বছরে বিশ্বের ৬টি মুসলিম দেশের থেকে প্রধানমন্ত্রীকে তাদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিয়েছে।

মুসলিম বিশ্বে মোদীর জনপ্রিয়তা বড়ছে
আর মুসলিম বিশ্বে মোদীর এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও ভারতের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় ইমরান খানের মাথায় হাত পড়েছে। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোয় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি সৌদিকে সতর্ক করেছিলেন। সেই সতর্কবার্তার খেসারত অবশ্য পাকিস্তানকে চুকাতে হয়।

পাকিস্তানকে বড় পরিমাণে ঋণ শোধ করতে হয়
চিন থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ধার নিয়ে তা দিয়ে সৌদির ঋণ শোধ করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আর সৌদির মান ভঞ্জনে এবার সেদেশে পাক সেনার প্রধানকে পাঠান ইমরান খান। তবে তাতেও চিড়ে ভেজেনি। উল্টে পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে দেখাও করেননি সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান।

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান বিশ্বমঞ্চে কেঁদেই চলেছে
উল্লেখ্য, পাকিস্তান চেয়েছিল ৫ অগাস্টকে কেন্দ্র করে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকে নিন্দা করুক আরবদেশগুলি। তাই ওআইসির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতেই ৫৩ সদস্যের ওআইসি তা নস্যাৎ করে। রাষ্ট্রসংঘের পরে এই মুসলিম দেশ সম্বলিত ওআইসি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আর সেখানেই পাকিস্তানের কাশ্মীর নিয়ে ঘ্যানঘ্যান মুখ থুবড়ে পড়েছে।

ওআইসিতে কোণঠাসা পাকিস্তান
সৌদি ছাড়াও পাকিস্তানকে একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্রবহু কোটি টাকার আর্থিক মদত দিয়েছে। তবে তার প্রেক্ষিতে সঠিকভাবে ঋণ শোধে অপারগ পাকিস্তান। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ সৌদি আরব। এছাড়াও পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ একাধিক আরব দেশ। সেই কারণেই ওআইসির কাছে কাশ্মীর ইস্যুতে পাত্তা পাচ্ছে না পাকিস্তান।

মোদী-ইমরান দ্বৈরথে এগিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী
সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোষ্ঠীভূক্ত বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা হবে না। যদি পাকিস্তান কথা না শুনতে চায় তাহলে পাকিস্তান যেন আলাদাভাবে ওআইসির বৈঠক ডেকে সেখানে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলে। তবে এই বৈঠকে নয়। এই আবহে একমাত্র তুরস্ক ও মালয়শিয়া পাকিস্তানের পাশে রয়েছে। আর ওইসির কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাওয়ার মূলে আদতে রয়েছে মোদীর বিদেশনীতি।
রাহুলের জন্য পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মনমোহন সিং! হঠাৎ কেন গান্ধীদের হয়ে সাফাই কংগ্রেসের?