শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার! কুলভূষণকে নিয়ে 'অবস্থান' বদল পাকিস্তানের
পাকিস্তানের জেলে বন্দী ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলতে দিতে রাজি পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জেলে বন্দী ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলতে দিতে রাজি পাকিস্তান। সোমবারই তিনি সেই কাজটি সারতে পারবেন। ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন অফিসারকে কুটনৈতিক সাহায্য দেওয়া হবে। টুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহঃ ফয়জল।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনারও নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে কুলভূষণের দেখা করানোর জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক আদালত।
এরপর পাকিস্তান জানায় দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে পাকিস্তান কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে দেবে। যদিও তারপর থেকে গরিমসি চলতে থাকে। ভারতের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানো হয়।
কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার। তিনি বলেছিলেন আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশের ফলেই এই কাজটি তাড়াতাড়ি করতে বাধ্য পাকিস্তান। সেই মতোই ভারত দাবি জানিয়েছে।
২০১৭-র এপ্রিলে পাকিস্তানের সামরিক আদালত কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। পরের মাসেই ভারত বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানায়।
পাকিস্তান দাবি করেছিল, ইরান থেকে সেদেশে প্রবেশের সময় কুলভূষণকে ২০১৬-র ৩ মার্চ বালোচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারত পাল্টা দাবি করে নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিককে ইরান থেকে অপহরণ করে পাকিস্তান। তারপর থেকে পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে কূটনৈতিক সাহায্য দিতে ভারতের দাবিকে অস্বীকার করলেও, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে তা দিতে বাধ্য হয়। যদিও এবছরের জুলাইয়ের রায়ের পরেই টালবাহানা চলছিল।