'পদ্মাবত' কে রুখতে বিজেপি শাসিত এই ২ রাজ্য যা করল, উলট পুরাণ আরেক গেরুয়া রাজ্যে
বিজেপি শাসিত প্রায় ৬ টি রাজ্য একযোগে 'পদ্মাবত' ছবির মুক্তি রুখতে সচেষ্ট হয়। হরিয়ানা, মদ্য় প্রদেশ, রাজস্থান সহ বহু বিজেপি শাসিত রাজ্যই সঞ্জয়লীলা বনশালী পরিচালিত ছবির বিরুদ্ধো তোপ দাগে।
বিজেপি শাসিত প্রায় ৬ টি রাজ্য একযোগে 'পদ্মাবত' ছবির মুক্তি রুখতে সচেষ্ট হয়। হরিয়ানা, মদ্য় প্রদেশ, রাজস্থান সহ বহু বিজেপি শাসিত রাজ্যই সঞ্জয়লীলা বনশালী পরিচালিত ছবির বিরুদ্ধো তোপ দাগে। রাজস্থানের চিতোরের রানি পদ্মিনীকে নিয়ে তৈরি এই ছবির নান দৃশ্য নিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা। যদিও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে সমস্ত রাজ্য়েই এই ছবি মুক্তি পাবে বলে জানানো হয়। তবে সেই নির্দেশের পরও আবারও আইনি রাস্তায় হেঁটে পদ্মাবত-এর মুক্তি রুখতে তৎপর দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য।
আইনি রাস্তায় দুই রাজ্য
'পদ্মাবত' ছবিটি যাতে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান মুক্তি না পায়, তার জন্য আইনি পথে হেঁটে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হল এই দুই রাজ্য। দুটি রাজ্যের তরফে সুপ্রিমকোর্টের পূর্ব নির্দেশকে কিছুটা পরিবর্তন করার আবেদন জানানো হয়। রায় মঙ্গলবার।
সুপ্রিমকোর্ট আগে যা জানিয়েছিল
এর আগে সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানানো হয় যে ২৫ জানুয়ারি নির্ধারিত দিনে দেশের সমস্ত রাজ্যে মুক্তি পাবেন বলিউড ফিল্ম 'পদ্মাবত'। তবে পাশাপাশি আদালত এও স্পষ্ট করে জানায় যে, ছবি ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলেও, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সেই রাজ্যের। এছাড়াও ছবি নিষিদ্ধ করা নিয়ে কোনও রাজ্য কোনও রকমের ফরমান জারি করতে পারবে না বলেও সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে।
'পদ্মাবত' নিয়ে হরিয়ানার অবস্থান
আগে যদিও এই ছবি ঘিরে নিষেধাজ্ঞাপ বেড়ি পড়াতে চেয়েছিল হরিয়ানা। তবে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এণ এল খট্টর জানিয়েছেন, সুপ্রিমকোর্টের রায় কে তাঁর সরকার সম্মান করে। ফলে ছবি গিরে কোনও রকমের উত্তেজনা তৈরি হলে , তা নিয়ন্ত্রণে আনার ব্য়বস্থা করবে হরিয়ানা সরকার। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে খট্টর প্রশাসন।
যা বলছেন রাজপুত মহিলারা
'পদ্মাবত' ছবির মুক্তি রোখার জন্য, ২৪ জানুয়ারি চিতোরে জওহরে ঝাঁপ দেওয়ার উদ্যোগ নেন রাজপুত মহিলারা। তবে পরে অবশ্য তাঁরা তাঁদের সেই জায়গা থেকে সরে আসেন। তাঁরা দাবি করেন, সঞ্জয়লীলা বনশালী ঝাঁপ দিন জওহরে।