দলের বড় নেতাদের শিক্ষায় অনুপ্রানিত নূপুর - নবীন, নবী বিতর্কে কেন্দ্রকে এক হাত চিদাম্বরমের
Array
নবী কাণ্ডে কার্যত ঘরে বাইরে চাপে রয়েছে বিজেপি। একবার বিদেশ থেকে 'হামলা' হয় নবী কাণ্ড নিয়ে তো সেখানে সামাল দিতে হয় বিদেশ মন্ত্রককে। মাথা খারাপ হওয়ার যোগার টিম জয়শঙ্করের। পালটা উত্তর দিয়ে সেই সমস্যা সামলানোর চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কিন্তু ঘর ? সেখানেও নূপুর - নবীণের নবী কাণ্ডে বিপর্যস্ত দল। একের পর এক বিরোধী নেতারা আক্রমণ করছে বিজেপিকে। তাঁরা আবার ডুয়াল গেম খেলছেন। বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই বিঁধছেন বাক্যবাণে। তালিকায় নতুন নাম পি. চিদাম্বরম।
চাপে কেন্দ্র
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম সোমবার বিজেপি নেতা নূপুর শর্মা এবং নবীন কুমার জিন্দালের নবী মহাম্মদ সম্পর্কে সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন। এই বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্র ও বিজেপিকে আক্রমণ করা বিরোধী নেতাদের তালিকায় নতুন নাম পি চিদাম্বরম। সব মিলিয়ে সব দিক থেকে চাপে বিজেপি।
বরখাস্ত করেও মিলছে না স্বস্তি
রবিবার, বিজেপি তাদের জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে বরখাস্ত করেছে এবং তার দিল্লির মিডিয়া সেলের প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে বহিষ্কার করেছে কারণ নবীর বিরুদ্ধে তাদের মন্তব্যের জেরে কিছু মুসলিম অধ্যুষিত ভারতের বন্ধু দেশে এর জেরে বড় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফল এখন ভুগছে ভারত। সেখানে ভারতের পন্য বর্জন করা শুরু হয়ে গিয়েছে। সিআইও আবার এ নিয়ে রাষ্ট্র সংঘের দ্বারস্থ হয়েছে। এই বিষয়টা সংগঠনকে ভালো ভাবে দেখার কথা বলা হয়েছে। পড়শি হলেও 'শত্রু' পাকিস্তানও পিন মারতে ছাড়নি। পালটা উত্তর দিয়েও ঘা শুকোচ্ছে না। ক্ষতে যেন লঙ্কার ছিটে দিচ্ছে বিরোধীদের মন্তব্য।
কী বলেছেন চিদাম্বরম ?
চিদাম্বরম টুইট করেছেন যে , "এই যে ইসলামোফোবিয়ার কথা বলা হচ্ছে এর মূল নূপুর শর্মা এবং নবীন কুমার নন। মনে রাখবেন, তারা রাজার প্রতি আনুগত্য দেখাতে গিয়েছিলেন। সেটা একটু বেশি ডোজের হয়ে গিয়েছে। আত্ম সমালোচনা বিজেপিকে ওই দু'জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেনি। ওই মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক ভাবে চাপে পড়ে গিয়েছে আমাদের দেশ। সেটাই বিজেপিকে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।"
কী বলছে বামেরা ?
বাম দলগুলিও বলেছে যে, "বিজেপি ওঁদের বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছে। সৌদি আরব, পাকিস্তান, কুয়েত, কাতার এবং ইরানের মতো দেশগুলি থেকে আসা তীব্র প্রতিক্রিয়ার চাপে পড়েছে কেন্দ্র। তাই বিজেপি চালিত কেন্দ্রীয় সরকার বলতে বাধ্য হয়েছে যে , তারা সমস্ত ধর্মকে সম্মান করে এবং যে কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননার তীব্র নিন্দা করে। দেশের ঘোর সমস্যায় , জনগণ আপানারাই পারেন ভারতকে বাঁচাতে"।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেছেন যে বিজেপি দেশকে এমন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে যে "ছোট দেশগুলিও এখন ভারতকে চ্যালেঞ্জ করছে"। তিনি দাবি করেছিলেন যে প্রত্যেক ভারতীয় এতে ব্যথিত। তেলাঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও উপসাগরীয় দেশগুলির সমালোচনার পরে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন। কেটিআর বলেছেন, "যদি বিজেপি সত্যিই সব ধর্মকে সমানভাবে সম্মান করে, তাহলে তেলাঙ্গানার বিজেপির প্রধানকেও কি বরখাস্ত করা উচিত নয় ? তিনি তো প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে সমস্ত মসজিদ ভেঙে মন্দিরের কী কী নিদর্শন আছে তা খুঁজে দেখার নিদান দিয়েছেন এবং উর্দুতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলেছেন। অন্য একটি টুইটে, তিনি বলেন যে, "কেন ভারতকে ধর্মান্ধ বিজেপির ঘৃণামূলক বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে? এটা আশা করি মানুষ বুঝবেন যে দেশের কত বড় ক্ষতি করছে এই কেন্দ্রীয় সরকার।"