সিবিআই-এর মামলায় জামিন মঞ্জুর, তবে জেলেই থাকবেন চিদাম্বরম
শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। সিবিআই-এর দায়ের করা আইএনএক্স মিডিয়ায় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জামিন মঞ্জুর হল চিদাম্বরমের।
সিবিআই-এর দায়ের করা আইএনএক্স মিডিয়ায় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জামিন মঞ্জুর হল চিদাম্বরমের। আজ জামিন চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন চিদাম্বরম। এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই তাঁকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। তবে এই মামলায় জামিন মঞ্জুর হলেও এখনই স্বস্তি পাচ্ছেন না প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর। আপাতত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে কারণ আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় এখনও জামিন পাননি তিনি।
আইএনএক্স মিডিয়ায় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই ২১ অগাস্ট প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিহারে রয়েছেন চিদম্বরম। এর আগে ১৫ দিন সিবিআই হেফাজতেও কাটিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরমের সংস্থাকে না কি বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া । যদিও চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এরপর ১৬ অক্টোবর ইডি-র হাতেও গ্রেফতার হন চিদাম্বরম। ১৫ অক্টোবর দিল্লির বিশেষ আদালতে চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত জানায়, আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি। এই নির্দেশনামাটি পরদিন সকালে ইডি-র তদন্তকারীদের হাতে আসতেই তিহার সংশোধনাগারে পৌঁছে যায় ইডি-র তিন সদস্যের একটি দল। সেখানেই দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চিদম্বরমকে। এরপর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিকে আজ সকালে তিহারে চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর ছেলে কার্তি ও স্ত্রী নলিনী।
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলাতেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ২০০৬ সালে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি থেকে এ বিষয়ে অনুমোদনের কথা থাকলেও অর্থমন্ত্রক থেকে অবৈধভাবে অনুমতি দেওয়া হয় বলে দাবি সিবিআই-এর। ওই চুক্তির ভিত্তিতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল-ম্যাক্সিস সমঝোতা হয়। তবে এই মুহূর্তে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি ।