আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় এবার ইডি-র হাতে গ্রেফতার চিদাম্বরম
এবার আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেও গ্রেফতার হলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
এবার আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেও গ্রেফতার হলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। গতকালই দিল্লির বিশেষ আদালতে চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত জানায়, আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে পি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি। এই নির্দেশনামাটি আজ সকালে ইডির তদন্তকারীদের হাতে আসতেই তিহার সংশোধনাগারে পৌঁছে যায় ইডি-র তিন সদস্যের একটি দল। সেখানেই দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চিদম্বরমকে। এরপর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিকে আজ সকালে তিহারে চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর ছেলে কার্তি ও স্ত্রী নলিনী।
গতকাল আদালতে ইডি-র চিদম্বরমকে গ্রেফতারের আবেদনের ভিত্তিতে তাদেরকে দুটি বিকল্পের কথা জানায় আদালত। জেলে গিয়ে দেড়ঘণ্টার জন্য পি চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বা তিহারেই তাঁকে গ্রেফতার করা। দ্বিতীয় বিকল্পটিই গ্রহণ করে তদন্তকারী সংস্থা। সেই মত আজ সকালে তিহারে গিয়ে চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে তদন্কারীরা। আজ বিকেল ৪টের পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হতে পারে চিদম্বরমকে। সেখানেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
প্রসঙ্গত, এই একই মামলায় সিবিআই ২১ অগাস্ট প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিহারে রয়েছেন চিদম্বরম। এর আগে ১৫ দিন সিবিআই হেপাজতেও কাটিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরমের সংস্থাকে না কি বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া । যদিও চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলাতেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ২০০৬ সালে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি থেকে এ বিষয়ে অনুমোদনের কথা থাকলেও অর্থমন্ত্রক থেকে অবৈধভাবে অনুমতি দেওয়া হয় বলে দাবি সিবিআই-এর। ওই চুক্তির ভিত্তিতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল-ম্যাক্সিস সমঝোতা হয়। তবে এই মুহূর্তে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি ।