দ্বিতীয় পর্যায়ের টেস্টে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হল দুই ভারতীয়কে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হল পুনেতে। কয়েকদিন আগেই এই পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ। প্রাথমিকভাবে ১৭টি ক্লিনিককে বেছে নেওয়া হয়েছে এই পরীক্ষার জন্য। ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, এমন ১৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হবে অক্সফোর্ড - অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন। এদের মধ্যে প্রথম ২ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অক্সফোর্ডের
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা ভ্যাকসিন ভারতে উৎপাদনের কাজ করছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের দেশীয় নাম কোভিশিল্ড রাখা হয়েছে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরির জন্য তারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং ভারত সরকারের তরফে কোভিশিল্ড উৎপাদন ও ভবিষ্যতের জন্য মজুত করার অনুমতি পেয়েছে।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো সাড়া মিলেছে
অক্সফোর্ডের তৈরি এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভালো সাড়া মিলেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ব্রিটেনে জুলাই মাসে এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়। যাঁদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যান্সেটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে টি-সেল উদ্দীপ্ত হয়। অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ২৮ দিনের মধ্যে।
১৭টি মেডিকেল ইনস্টিটিউটকে বেছে নেওয়া হয়েছে
বৃহন্মুম্বই পৌরনিগম ইতিমধ্যেই মানবদেহে ভ্যাকসিনের প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। গোটা দেশে সবমিলিয়ে ১৭টি মেডিকেল ইনস্টিটিউটকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য। এর মধ্যে মুম্বইয়েরই দু'টি হাসপাতাল রয়েছে। সূত্রের খবর, পুনের বি জে মেডিকেল কলেজকেও বেছে নেওয়া হয়েছে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশ হিসেবে।
টীকা তৈরির লাইসেন্স পায় সেরাম ইনস্টিটিউট
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হওয়ার পরেই ভারতে এই টীকা তৈরির লাইসেন্স পায় সেরাম ইনস্টিটিউট। এরপর প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষণ হয় দেশে। এরপর শুরু হল দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের আগে প্রত্যেকের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। তাঁদের শরীরে কোরোনার কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।