স্থগিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল! ভারতে বন্ধ থাকছেনা কোভিশিল্ডের পরীক্ষা, স্পষ্ট করল সিরাম
স্থগিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল! ভারতে বন্ধ থাকছেনা কোভিশিল্ডের পরীক্ষা, স্পষ্ট করল সিরাম
করোনা সঙ্কটের মাঝেই সর্বাধিক আশার কথা শোনাচ্ছিল অক্সফোর্ডের করোনা টিকা। কিন্তু, সাম্প্রতিককালে ইংল্যান্ডে ট্রায়ালে অংশ নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবী অপ্রত্যাশিতভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আগামী কদিনের জন্য এই সাময়িক ভাবে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলই তৈরি হয় তুমুল চাঞ্চল্য। তবে এই পরিস্থিতিতে সিরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা জানান, ব্রিটেনের এই ঘটনা ভারতের পরীক্ষায় কোনোও প্রভাব ফেলবেনা। সম্প্রতি এই বিষয়ে সিরামের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে বলে খবর।
সিরামের হাত ধরেই দেশে সম্পন্ন হচ্ছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল
কিছুদিন আগেই অক্সফোর্ড ও ব্রিটেনের অ্যাসট্রাজেনকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশেই এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে চুক্তিবদ্ধ সিরাম ইন্সটিটিউট। এই সংস্থার তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই দেশের ১৭টি জায়গায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। কমপক্ষে ১,৬০০ স্বেচ্ছাসেবককে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বয়স ১৮-৫৫ বছরের মধ্যে। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে দু'টি ডোজ দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল সংস্থা। দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের পর ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফার ট্রায়ালও শুরু হয়েছে। ভারতে এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ড।
দেশে জারি থাকছে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল
তবে ব্রিটেনের স্বেচ্ছাসেবকের হঠাৎ অসুস্থতার ঘটনায় দেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু এই প্রসঙ্গে সিরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা সাফ জানিয়ে দেন, " আমরা অন্য দেশের পরীক্ষা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, পরীক্ষা সাময়িক ভাবে স্থগিত হয়ে থাকতে পারে। গবেষণা শেষে শীঘ্রই তা শুরুও হবে। কিন্তু ভারতে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি, তাই কোনোওভাবেই বন্ধ থাকবেনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।"
স্নায়বিক সমস্যার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ব্যক্তি
ভারতে যে কোভিশিল্ডের ট্রায়ালে কোনোও পরিবর্তন হবেনা তা এদিন বারংবার স্পষ্ট করেন সংস্থার প্রধান। এছাড়াও তিনি জানান, " ব্রিটেনে স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটি রিপোর্ট করা হয়েছে তা সরাসরি ভ্যাকসিনের সাথে যুক্ত নয়। এটি ওই ব্যক্তির স্নায়বিক সমস্যা। একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন এই জাতীয় সমস্যা খুবই সাধারণ। "
কী বলছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা?
অন্য দিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে,"আমরা একটি স্বাধীন কমিটির মাধ্যমে ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনার জন্য স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা স্থগিত রেখেছি"। পাশাপাশি তাদের তরফে আরও বলা হয়, এটা একটা রুটিন পদক্ষেপ। যখনই কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
লাদাখে এক চুলও চিনা আগ্রাসন সহ্য কর হবে না! জবাব দিতে প্রস্তুতি ভারতের