মিলল ছাড়পত্র! করোনা যুদ্ধে ভারতের হাতিয়ার অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড
২০২১ সালের প্রথম দিনেই স্বস্তির খবর ভারতে। মিলে গেল করোনা ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ কমিটির বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেওয়া হল আজকে। অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত পেল। ভারতের পুণেতে অবস্থিতি সিরাম ইনস্টিটিউট এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে দেশে। সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি রয়েছে।
৩০ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা
আগামী ছয় থেকে আট মাসে ৩০ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে টিকার ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনই বৃহত্তম আশার আলো দেখাচ্ছে৷ যদিও ভারত সরকার এখনও সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করেনি৷
প্রথমে নিজের দেশের বাজারে ছাড়া হবে ভ্যাকসিন
সংস্থাটি বলেছে যে তারা প্রথমে নিজের দেশের বাজারে এবং পরে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিতে রপ্তানি করবে। সিরামের সিইও এস পুনাওয়ালা বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক এই সংস্থা ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা শটটির প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করেছে এবং আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে এই ডোজ ১০০ মিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে৷
ব্রিটেন অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়
এই সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনকে মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে৷ ব্রিটেনে দ্বিতীয় করোন ভাইরাস ভ্যাকসিন হিসাবে ফাইজার-বায়োএনটেক জ্যাবসকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের শেষ ট্রায়াল চলছে৷ মানব শরীরে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করেছে বলে জানা গিয়েছে৷
১০ কোটি ডোজ তৈরি
ভারতে সিরাম আগেই আশা করছিল যে তাদের ভ্যাকসিন আজকের বৈঠকে ছাড়পত্র পাবে৷ ব্রিটেনে ইতিমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়পত্র মেলায় সেরাম এই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল বলেই মনে করছিল বিশেষজ্ঞ মহল৷ এবং এই সংস্থা ইতিমধ্যে ১০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলেছে৷ অনুমতি মিললেই এক সপ্তাহের মধ্যেই টিকাকরণ শুরু হতে পারে।