২০০-র অধিক সাংসদকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ সাত দিনের মধ্যে, অপেক্ষায় নব্যরা
সমস্ত প্রাক্তন সংসদ সদস্যকে সাতদিনের মধ্যে সরকারি বাংলো খালি করে দিতে বলা হল। ষোড়শ লোকসভা ভেঙে যাওয়ার দু’মাস পরেও বহু প্রাক্তন সাংসদ সরকারি আবাসন ছাড়েননি।
সমস্ত প্রাক্তন সংসদ সদস্যকে সাতদিনের মধ্যে সরকারি বাংলো খালি করে দিতে বলা হল। ষোড়শ লোকসভা ভেঙে যাওয়ার দু'মাস পরেও বহু প্রাক্তন সাংসদ সরকারি আবাসন ছাড়েননি। এই তালিকায় রয়েছেন দুই শতাধিক সাংসদ। হাউজিং কমিটির চেয়ারম্যান সিআর পাতিল সমস্ত প্রাক্তন সংসদ সদস্যকে সরকারি আবাসন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সরকারি আবাসন খালি করতে এর আগে তিন দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরও বাংলা খালি করেননি বেশিরভাগ সংসদ সদস্য। এই পরিস্থিতিতে সাতদিনের মধ্যে বাংলা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হল। ভোটের ফল প্রকাশের পর সদ্য প্রাক্তনীদের নিয়ম মেনে এক মাসের মধ্যে তাদের নিজ নিজ বাংলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় মোদী সরকার গঠনের পরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ষোড়শ লোকসভা ভেঙে দিয়েছিলেন। তারপরই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সদ্য প্রাক্তনী সংসদ সদস্যদের। কিন্তু দুই শতাধিক লোকসভার সাংসদ এখনও তাদের সরকারি বাংলো খালি করেনি, যা তাদেরকে ২০১৪ সালে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর ফলে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা অস্থায়ী আবাসে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সপ্তদশ লোকসভায় ২৬০ জনেরও বেশি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রয়েছেন। প্রথমবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ গৌতম গম্ভীর, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং স্মৃতি ইরানি, সুফি গায়ক হংস রাজ হান্স এবং বাঙালি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান প্রমুখ।