সুপ্রিম রায়ের পর মঙ্গলবার ৫ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রীর সমাগম অযোধ্যায়
অযোধ্যায় পা ফেলেছেন কয়েক লক্ষ্য পূণ্যার্থী। মঙ্গলবার কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে সরয়ু নদীতে পূণ্য স্নান করতেই আগমন এই তীর্থযাত্রীদের। শনিবার অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি করার সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর এটাই প্রথমবার যখন এত বড় সংখ্যায় লোকসমাগম হচ্ছে অযোধ্যায়।

অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম রায়
শনিবার বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা জমি বিতর্কের রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলা হয়। এবং তা তৈরির জন্য তিনমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙা বেআইনি ছিল।

কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে স্নান সারবেন তীর্থ যাত্রীরা
শতাব্দী প্রাচীণ বিবাদের নিষ্পত্তির আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আশঙ্কা করা হয়েছিল সব তরফেই। সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল পর্যাপ্ত। আর তাই রায় ঘোষণার পর এখনও পর্যন্ত কোনও বড় আকারের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি দেশের কোথাও। তবে যেই শহরে এই বিবাদ। সেই অযোধ্যা এখনও পর্যন্ত শান্ত রয়েছে। আগত তীর্থ যাত্রীরা কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে স্নান সারবেন সরয়ু নদীর তীরে থাকা রাম কী প্যাইদদি ও নয়া ঘাটে।

রায় ঘোষণার আগের থেকেই ভির জমা শুরু
শনিবার রায় ঘোষণার আগের থেকেই ভির জমতে শুরু করেছিল অযোধ্যার রামলালা মন্দিরে। এদিকে অযোধ্যার জেলাশাসক অনুজ কুমার ঝা বলেন, "সাধারণ দিনে মাত্র ৮০০০ লোক সমাগম হয় এই ঘাটগুলিতে। তবে কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে পাঁচ লক্ষেরও বেশি লোক রামজন্মভূমি দর্শনে আসবেন। অবশ্য শীর্ষ আদালতের রায়ের পর সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করছি।"

আইনশৃঙ্খলার উপর প্রশাসনের কড়া নজর
আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে জেলাশাসক বলেন, "আমরা সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি পাশাপাশি যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় সেই বিষয়টাও দেখা হচ্ছে। সবাই যাতে শান্তিতে ও কোনও হাঙঅগামা ছাড়া দর্শন সারতে পারেন সেই বিষয়টা আমাদের নজরে আছে। পুরো শহরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ নুযুক্ত করা আছে।"

পূণ্যার্থীদের সুবিধার্থে ব্যবস্থা
এদিকে পূণ্যার্থীদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই অযোধ্যার বিভিন্ন স্থানে সৌচালয় ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ৩০টি ভ্রাম্যমাণ সৌচালয়ের পাশাপাশি ১৮টি স্থানে জলের ট্যাঙ্ক রাখা হয়েছে। এছাড়াও আপতকালীন ভাবে ২০টি মেডিকাল ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে।

কার্তিক পূর্ণিমার গুরুত্ব
কার্তিক মাসের পূর্ণিমাকে হিন্দু মতে পূণ্য দিন বলে মনে করা হয়। এই কার্তিক পূর্ণিমাকে দেব দীপীবলি নামেও জানে অনেকে। বলা হয় আজকের দিনে দেবতারা দীপাবলি পালন করেন। অমাবস্যায় উদযাপিত দিওয়ালির ১৫ দিন পরে আসে এই দিনটি।