২০২৩ সালে চারধামে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০ লক্ষে, জানিয়েছে আইএসআই
২০২৩ সালে চারধামে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০ লক্ষে, জানিয়েছে আইএসআই
কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী সহ উত্তরাখণ্ডের চারধামে ২০২৩ সালের মধ্যে ৮০ লক্ষের বেশি পুণ্যার্থী তীর্থযাত্রা করতে যাবেন। এমনটাই জানিয়েছে বেঙ্গালুরুর ভারতীয় পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান (আইএসআই)।
সরকারকে ভালো পরিকল্পনা করার জন্য অনুরোধ
পরিবেশবিদ ও সমাজ কর্মীরা সরকারি বিভিন্ন এজেন্সি, নীতি-নির্ধারক ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন যে পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ধরে রাখতে ভালো ভালো পরিকল্পনা করা হোক।
বর্জ্য নিষ্কাশনে পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে
তবে দর্শনার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সব জায়গা অপরিস্কার হতে শুরু করে যা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে তীর্থস্থানগুলি খুবই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। এই রিপোর্ট তৈরিতে সহায়ককারী ও সামাজিক বিকাশ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অনুপ নাটিয়াল বলেন, ‘দর্শনার্থীদের দ্বারা উৎপাদিত বর্জ্য পরিচালনা করতে আরও পরিকাঠামো এবং সংস্থার প্রয়োজন হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যেমন একটি পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে পর্যটকদের বিশাল আগমন হয়েছে তেমনি তা পর্যটন শিল্পের ধারণ ক্ষমতা এবং পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন তৈরি করেছে।' সমাজ কর্মীরা জানিয়েছেন, বর্জ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থার জন্য অবৈজ্ঞানিক ও অপরিকল্পিত পদ্ধতিগুলিও যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তীর্থযাত্রীর সংখ্যা সীমিত করা দরকার
এই সমীক্ষার আর এক সহায়ককারী তথা মুসৌরির ঐতিহ্য সংরক্ষণবিদ, যিনি তিন দশক ধরে হিমালয়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে চলেছেন, তিনি জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের মন্দিরগুলিতে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অর্থ হল অমরনাথ ও কৈলাস মানস সরোবরে পুণ্যার্থীর বোঝা অনেকটাই কমবে। তিনি বলেন, ‘এই মন্দিরগুলি আধ্যাত্মিক এবং পরিবেশগত পবিত্রতা সরবরাহ করে। এই মন্দিরগুলি রাজস্ব আদায়ের জায়গা নয় তা সরকারকে বুঝতে হবে। এই মন্দিরগুলিতে আসা তীর্থযাত্রীর সংখ্যা সীমিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।'