হিংসা পরবর্তী দিল্লিকে স্বাভাবিক করে তুলতে বড় পদক্ষেপ কেজরিওয়াল সরকারের!
হিংসায় আক্রান্ত প্রায় ১০০০ জন দিল্লিবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে বলে জানাল দিল্লি সরকার। জানা গিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির মুস্তাফাবাদের ত্রাণ শিবিরে এদেরকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ক্যাম্পে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। তাছাড়া ক্যাম্পে স্থানান্তরিত ব্যক্তিদেরকে ওষুধ থেকে শুরু করে জামা, বিছানা, খাবার ও অন্যান্য জরুরি বস্তুও দেওয়া হয়েছে।

হিংসার ঘটনা সরকারকে জানাতে টোলফ্রি নম্বর দিল্লি সরকারের
দিল্লি সরকারের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিষয়ে বলা হয়, 'দিল্লিতে হিংসায় আক্রান্ত হয়ে যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদেরকে দিল্লি সরকার ও কয়েকটি এনজিও মুস্তাফাবাদে নিয়ে এসেছে। এখানে চিকিৎসকরা রয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধও রয়েছে। আক্রান্ত এলাকা থেকে প্রায় ১০০০ জনকে মুস্তাফাবাদের এই শিবিরে আনা হয়েছে।' এছাড়া আর কোনও হিংসার ঘটনা নজরে পড়লে ৮৯৫০০০০৯৪৬ নম্বরে ফোন করে সরকারকে জানাতেও আহ্বান জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

দিল্লি হিংসার তদন্তে নেমেছে পুলিশ
এদিকে হিংসা পরবর্তি পরিস্থিতিতে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় যু্ক্ত থাকার অভিযোগে ১৪০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে। এই আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এরকম উত্তেজনা ছড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। আরও জানতে আটক ব্যক্তিদের জেরা করছে পুলিশ।

৪৩৬টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি হিংসার ঘটনায়
এছাড়া দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছে, ৪৩৬টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে হিংসা সম্পর্কিত ঘটনায়। এই মামলাগুলির মধ্যে ৪৫টি হল বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত আছে বলে দাবি করা হয়। গত ছয় দিনে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলেও তারা জানায়। সিএএ ঘিরে দিল্লিতে বেশ কয়েকদিন ধরে চলে হিংসার ছবি। এখনও পর্যন্ত এই হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭। জখম হয়েছেন আরও ৩৫০ জন।

দিল্লিতে হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন যে সকল নিরীহ মানুষ
দিল্লির হিংসায় যেমন মারা গিয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল ও আইবি অফিসার, তেমনই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য বিবাহিত এক ব্যক্তি, একজন ডিজে, এক ব্যবসায়ী, একজন বাবা যে তাঁর সন্তানদের জন্য টফি কিনতে বেরিয়েছিলেন, একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা। রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। দিল্লি হিংসা চলাকালীন অশান্ত এলাকায় খবর সংগ্রহে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষের সামনে পড়েছেন সাংবাদিকরা।