দেশের ১১টি জেলায় ৪২ শতাংশের বেশি কোভিড মৃত্যু, চিন্তা বাড়ছে মহারাষ্ট্রকে ঘিরে
দেশের ১১টি জেলায় ৪২ শতাংশের বেশি কোভিড মৃত্যু
ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দিন দিন চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে সরকারের। দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যু কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যাচ্ছে না। বর্তমানে ভারতের ১১টি এমন জেলা রয়েছে, যেখানে ১০০০–এর বেশি মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। দেশে করোনা সংক্রান্ত মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই ১১টি জেলা মিলিয়ে ৪২ শতাংশের বেশি মৃত্যু যোগ করা হয়েছে এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজারের ওপর।
মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন জেলায় মৃত্যু বাড়ছে
মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও পুনের মধ্যেই এই ১১টি জেলার অধিকাংশ জেলা পড়ছে, এছাড়াও মহারাষ্ট্রের তুলনামূলকভাবে ছোট শহুরে কেন্দ্র রয়েছে। এখনও পর্যন্ত নাগপুর, নাসিক ও জলগাঁও মোট ১০০০-এর বেশি মৃত্যু রিপোর্ট করা হয়েছে। তালিকায় তাদের উপস্থিতি খুব একটা অপ্রত্যাশিত নয়। করোনায় সর্বাধিক আক্রান্তের দশটি শহরের তালিকায় নাসিক ও নাগপুর নীচের দিকে রয়েছে। জলগাঁওতে করোনার বোঝা তুলনামূলকভাবে কম, তবে তা ২৫টি শহরের তালিকায় আছে। মহারাষ্ট্রের আরও তিন জেলা রয়েছে যেখানে করোনা সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা হাজার। সোলাপুর, কোলাপুর ও রায়গড় এই তিন জেলায় ৯০০-র বেশি মৃত্যু রিপোর্ট হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি
এই সত্যটাকে কোনওভাবেই খারিজ করা যাবে না যে দেশে মোট করোনা ভাইরাস মৃত্যুতে মহারাষ্ট্রের অবদান প্রায় ৪০ শতাশ। কেস মৃত্যুর অনুপাত (সিএফআর), যেটি নিশ্চিত করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর শতকরা হিসাবে গণ্য করা হয়, সেখানে মহারাষ্ট্রে সিএফআর ২.৮২ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রায় প্রতিদিনই মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখা যাচ্ছে। শেষ তিন সপ্তাহে, যেখানে ভারতে দৈনিক নতুন সংক্রমণ ৭০ হাজারের বেশি হতে শুরু করে, ওই সময় মহারাষ্ট্র থেকে ২০ হাজার মৃত্যু যোগ হয় দেশের মোট কোভিড মৃত্যুর সঙ্গে।
দেশে দৈনিক মৃত্যু হাজার
দেশে প্রতিদিন হাজার জনের মৃত্যুর রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ এখন এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন তাঁরা, যাঁদের বেশিরভাগই দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে সংক্রমিত হয়েছিলেন। সেই সময় সংক্রমণের যে তীব্রতা দেখা গিয়েছিল, সেটাই এখন মৃত্যুর সংখ্যায় প্রতিফলিত হচ্ছে।
দেশে সিএফআর হ্রাস পাচ্ছে ধীরগতিতে
তবে দেশের সামগ্রিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে অনুপাত হ্রাস পাচ্ছে, ধীরে ধীরে কিন্তু স্থিরভাবে। তিন সপ্তাহ আগে দেশে সিএফআর ছিল ১.৮৩ শতাংশ যা এখন দাঁড়িয়েছে ১.৬৪ শতাংশে। যদিও বেশ কিছু বৈজ্ঞানিকের মতে সিএফআরের গণনায় কিছু ভুলভ্রান্তি রয়েছে, কারণ মৃত ব্যক্তিরা সেই দলের নয়, যাঁরা বর্তমানে পজিটিভ। সাধারণত সেখানে দুই থেকে তিন সপ্তাহের ব্যবধান রয়েছে। তবে সঠিক সিএফআর পাওয়া যেতে পারে যদি বর্তমান সময় থেকে মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করা হয় দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে মোট নিশ্চিত হওয়া করোনা আক্রান্তদের সামনে রেখে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাঁকুড়ায় চালু হল প্লাজমা সংগ্রহের কাজ