করোনা ভাইরাসের লকডাউনের জন্য ভারতের ১ কোটি ৮৫ লক্ষ মহিলা গর্ভপাত থেকে বঞ্চিত
নতুন এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রায় ১.৮৫ মিলিয়ন মহিলাকে গর্ভপাত থেকে বঞ্চিত করেছে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র, কেমিস্ট আউটলেট সহ বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র। কোভিড–১৯ লকডাউনের কারণে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার জন্যই বিপদে পড়তে হয়েছে অনেক মহিলাদের।
দু’টি লকডাউনে ৫৯ শতাংশ মহিলা গর্ভপাত থেকে বঞ্চিত
ইপাস ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের এই সমীক্ষা হয়েছে ১২টি রাজ্য মিলিয়ে। এই সমীক্ষাতে উঠে এসেছে যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনে (২৫ মার্চ-৩ মে) গর্ভপাতের পরিসংখ্যান বলছে, মহিলারা চূড়ান্ত পর্যায়ে আপোস করেছে এই সময়। প্রায় ৫৯ শতাংশ মহিলা এই সময় গর্ভপাতের পরিষেবা পায়নি। ১ জুন থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে তা একটু উন্নতি হয়েছে। ২৪ দিনে গর্ভপাতের সঙ্গে আপোস করেছেন ৩৩ শতাংশ মহিলা।
নিরাপদ গর্ভপাতের ওপর মনোযোগ হারিয়ে যায এই সময়
এই গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে ভারতে গর্ভপাতের বৃদ্ধি কোভিড-১৯-এর নিকটবর্তী-মেয়াদের সঙ্গে লকডাউনের (২৫ মার্চ-২৪ জুন) প্রথম তিনমাস। এই গবেষণায় মূলতঃ গর্ভপাতের হ্রাস বৃদ্ধির তিনটি কারণের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা, বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ওষুধের দোকান। ইপাসের সিইও বিনোজ মানিং বলেন, ‘কোভিড-১৯ যখনই মহামারিতে রূপান্তরিত হল, প্রত্যেকের সম্পূর্ণ মনোযোগ ও প্রচেষ্টা করোনার নিয়ন্ত্রণে চলে গেল, যা খুব স্বাভাবিকভাবেই বহু স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিচালনার ওপর পড়ল, যার অন্তর্ভুক্ত নিরাপদ গর্ভপাতও, যা একেবারে পেছনের দিকে চলে গেল।'
বিভিন্ন কারণে আপোস করতে হয়েছে গর্ভপাতকে
তিনি এও বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য পরিষেবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও তাদের কর্মীদের এখন প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসা ও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নিরাপদ গর্ভপাতকে আপোস করতে হয়েছে, এটি একটি সময় সংবেদনশীল পদ্ধতি।'
৩.৯ মিলিয়ন মহিলা গর্ভপাত চেয়েছে গত তিনমাসে
ইপাস ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সুশান্ত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত তিন মাসে গর্ভপাত চেয়েছিলেন ৩.৯ মিলিয়ন মহিলার মধ্যে প্রায় ১.৮৫ মিলিয়ন মহিলাকে আপোস করতে হয়েছে।