কেরল, মহারাষ্ট্রে জিকা ভাইরাসের প্রকোপ, করোনা উপসর্গের সঙ্গে রয়েছে মিল
কেরলের পর মহারাষ্ট্রের পুনেতে সনাক্ত হয়েছে জিকা ভাইরাস। তবে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এই ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হতে বারণ করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছেন যে ২ জন মহিলার শরীরে এই ভাইরাস সনাক্ত হয়েছিল তাঁরা সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

জিকা ভাইরাসের উপসর্গ
রিপোর্ট জানিয়েছে, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও উপসর্গ থাকে না। তবে এই ভাইরাসের উপসর্গ বলতে জ্বর, ত্বকে র্যাশ, কংজাংটিভিটিস, গাঁটে ও পেশিতে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি। ডেঙ্গির সঙ্গে এই ভাইরাসের উপসর্গেরও মিল রয়েছে। এই উপসর্গগুলি মৃদু এবং ২-৭দিনের মতো থাকে। এই রোগে আক্রান্ত চারজনের মধ্যে একজনের এই উপসর্গ দেখা যায়।

জিকা ভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা কতটা
জিকা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে না। ঠিকমতো চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত বিশ্রামে তা নিরাময় হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী মহিলারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁদের গর্ভের সন্তানের মাইক্রোসেফালি হতে পারে।

ভারতে প্রথম সনাক্ত
ভারতে প্রথম জিকা ভাইরাস সনাক্ত হয় ২০১৭ সালের গুজরাতে এবং তারপর তামিলনাড়ুতে। এরপর বৃহৎভাবে প্রকোপ দেখা দেয় রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে ২০১৮ সালে।

জিকার চিকিৎসা কী?
জিকার কোনও ভ্যাকসিন নেই কিংবা কোনও ওষুধ নেই। উপসর্গ সাধারণত মৃদু। বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার প্রয়োজন জিকা হলে। এবং গা-ব্যথা আর জ্বরের জন্য দরকার বিশ্রাম। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।