অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, মেয়াদ পেরলেও মোট বরাদ্দের মাত্র ১৩% খাদ্যশস্য পেয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, মেয়াদ পেরলেও মোট বরাদ্দের মাত্র ১৩% খাদ্যশস্য পেয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা
সমস্ত সরকারি ঘোষণাই যেন বিফলে যেতে বসেছে। সমস্ত ঘোষণাই সার। লকডাউনের মাঝে দেশের পরিযায়ী সঙ্কট মাথাচাড়া দিলে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহের কথা জানায় কেন্দ্র সরকার। বরাদ্দ করা হয় ৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। কিন্তু বর্তমানের বাস্তব চিত্র অন্য কথা বলছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্যের মধ্যে মাত্র ১৩ শতাংশ খাদ্যশস্য পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পরে বাস্তবচিত্র অন্য কথাই বলছে
প্রধানমন্ত্রী মোদীর আত্মনির্ভর ভারত করতে ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক প্যাকেজ প্রকাশের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বড় ঘোষণা করতে দেখা যায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে। রেশন কার্ড ছাড়াও সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল বা গম ও এক কেজি ডাল দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। পাশাপাশি বিপিএল কার্ড না থাকলেও এই খাবার বিনামূল্যে পাবেন তাঁরা।
৮ কোটির মধ্যে পরিষেবা পেয়েছেন মাত্র ২ কোটি
গ্রাহক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রকের সর্বশেষ আপডেট থেকেই এই তথ্য জানা যাচ্ছে। এদিকে মোদীর স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারতের জন্য বাজেট বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে মে মাস থেকে আগামী দুমাসের জন্য ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে এই খাদ্য শস্য বিতরণের কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২.১৩ কোটি মানুষ এই পরিষেবা পেয়েছেন। তারমধ্যে মে মাসে খাদ্যশস্য পেয়েছেন ১.২১ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। জুন মাসে ৯২.৪৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক।
৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্যের ৮০ শতাংশই উত্তোলন করা হয়েছে
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তথ্য অনুসারেই, ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলি এই খাতে বরাদ্দ ৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্যের ৮০ শতাংশই উত্তোলন করেছে। তবে তারা ৩০ শে জুন অবধি ইচ্ছুক সুবিধাভোগীদের জন্য মাত্র ১.০৭ লক্ষ মেট্রিক টন (বরাদ্দকৃত পরিমাণের ১৩%) খাদ্যশস্য বিতরণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্যের কাছে খাদ্যশস্য এসে পৌঁছালেও অজ্ঞাত কারনে তা পোঁছাচ্ছে না পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে
ওই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট দুমাসের জন্য বরাদ্দ বিনামূল্যের ওই খাদ্যশস্য রাজ্যে রেশন কেন্দ্র গুলিতে জমা করা হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তা বিতরণ করা হয়নি। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বর্তমানে তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যশস্যের ১০০ শতাংশই তুলে নিয়েছে। যেমন এই খাতে উত্তরপ্রদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। তারা বর্তমানে এই বরাদ্দের মধ্যে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৭ মেট্রিক টন খাদ্য তুলে নিলেও ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৩২৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য।
করোনার মধ্যেই বাংলায় পঙ্গপাল হানা, দার্জিলিংয়ে ঢুকে পড়েছে রাক্ষুসে পতঙ্গ