করোনা সংকটে ওষুধের রপ্তানিতে ভারতের কাছে করছাড়ের আর্জি অন্যান্য দেশের
করোনা সংকটে ওষুধের রপ্তানিতে ভারতের কাছে করছাড়ের আর্জি অন্যান্য দেশের
করোনার তুমুল প্রকোপে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে ওষুধের অভাব। এমতাবস্থায় আমেরিকা, সৌদি আরব ও সার্কের আওতায় থাকা অন্যান্য দেশগুলি একযোগে ভারতের কাছে ওষুধ রপ্তানিতে কর মকুবের আর্জি জানিয়েছে।
ঔষধি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের অবদান
বিশ্বে জেনেরিক ড্রাগ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় ঔষধির রাসায়নিক উপাদান(এপিআই) তৈরিতে ভারতের স্থান সবার উপরে। এপিআই মূলত ব্যথা নিরাময়কারী ঔষধি, ম্যালেরিয়ার ড্রাগ, ইনহেলার এবং ভেন্টিলেটরের সংবেদনশীল রোগীদের ঔষধি প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়।
দরকারি স্বাস্থ্যসামগ্রী রপ্তানিতে বাধা ভারতের
মার্চ থেকে ভারতে নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পরপরই ২৬টি এপিআই ও ড্রাগের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রপ্তানির ফলে ভারত করোনা মোকাবিলায় পিছিয়ে পড়তে পারে। মূলত ২৪শে মার্চ থেকে হাইড্রক্সি-ক্লোরোক্যুইনের মত ঔষধি, স্যানিটাইজার, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসামগ্রীর রপ্তানিও রদ করা হয়।
রপ্তানি বন্ধের ফলে বিপদে অন্যান্য দেশ
কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানি বন্ধের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করলেও বিপাকে পড়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলি। হাইড্রক্সি-ক্লোরোক্যুইনের মত ড্রাগ শুধুমাত্র ম্যালেরিয়া নয়, বরং অন্যান্য রোগেও কার্যকরী। ফলত সার্কের অন্তর্গত দেশগুলির চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া ও আরব সরকার সরকারিভাবে রপ্তানি চালু করার আর্জি জানিয়েছেন।
ঔষধির ব্যবসায় ক্ষতি ভারতীয় সংস্থাগুলির
ভারত সরকার কর্তৃক রপ্তানি বন্ধের সময়ে চিনের ঔষধি সংস্থাগুলিও বন্ধ । কিন্তু বর্তমানে চিনের একাধিক সংস্থা পুনরায় ব্যবসা শুরু করায় আন্তর্জাতিক বাজার হারাতে বসেছে ভারতীয় সংস্থাগুলি। বুধবার ঔষধি সংস্থাগুলি, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে একটি বৈঠকে প্রশাসনের কাছে রপ্তানিজনিত বিধিনিষেধ শিথিল করার আর্জি জানায়। ভারত সরকার রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে ঔষধির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ভারসাম্য বজায় করার কথা ভাবছে। এ বিষয়ে করোনা মোকাবিলায় নির্মিত আন্তর্জাতিক মঞ্চের সাথে প্রশাসন আলোচনা চালাচ্ছে।