ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু, উত্তাল হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর
এমএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ছাত্রের দেহ হস্টেলের বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এমএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ছাত্রের দেহ হস্টেলের বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসি ফিজিক্সের ছাত্র বছর কুড়ির ইরামাইনা মুরলি। রবিবার বিকেলে মানাইর হস্টেলের বাথরুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। হস্টেল সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকে মুরলির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রবিবার
ব্রেকফাস্ট
কিংবা
লাঞ্চে
সহপাঠীদের
সঙ্গে
তাঁকে
দেখতে
পাওয়া
যায়নি।
কিন্তু
বিকেলে
হস্টেলের
বাথরুম
থেকে
তাঁর
দেহ
উদ্ধারের
পরেই
চাঞ্চল্য
ছড়ায়।
খবর
পাওয়া
পরেই
পুলিশ
গিয়ে
দেহ
উদ্ধার
করে।
ছাত্রের
ঘর
থেকে
একটি
সুইসাইট
নোটও
উদ্ধার
করেছে
পুলিশ।
তাতে
লেখা,
তিনি
তার
পড়া
চালিয়ে
যেতে
পারছেন
না।
পরীক্ষায়
অকৃতকার্য
হওয়ার
সম্ভাবনার
কথাও
জানিয়েছে
ওই
ছাত্র।
পরীক্ষায়
অকৃতকার্য
হতে
চায়
না।
তাই
নিজেকে
শেষ
করার
সিদ্ধান্ত।
তেলেঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলার দাউলাপুর গ্রামের বাসিন্দা মুরলি তাঁর ভাইদের বলেছে, মায়ের প্রতি নজর রাখতে।
যদিও, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুরলির সহপাঠীদের অভিযোগ, সুইসাইড নোটের লেখাটি তাঁর নয়। মুরলির হাতের লেখার সঙ্গে তা মিলছে না বলেই অভিযোগ সহপাঠীদের।
ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা এবং আন এমপ্লয়েড ইউথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কে মানাভাতা রাই জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানা সরকারের চাকরির বিজ্ঞপ্তির দেরি নিয়ে হতাশাগ্লস্ত হয়ে পড়েছিল মুরলি। এই মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও-এর সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি।
মুরলির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাজারো ছাত্রের জমায়েত হয় হস্টেল চত্বরে। তেলেঙ্গানা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয় সেই জমায়েত থেকে। মুরলির মৃত্যুর বিচারের দাবিও করা হয়।
দেহ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশের তরফে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়