OROP বিতর্ক : "আমাদের নয়, ত্রুটি কেন্দ্রেরই", সাফ জানাল ভিওয়ানির স্টেট ব্যাঙ্ক শাখা!
সুবেদার রামকিষাণ গ্রেওয়ালের এক পদ এক পেনশন ইস্যুতে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও ত্রুটি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যে ব্যাঙ্কে রামকিষাণের অ্যাকাউন্ট ছিল তাদের তরফেই এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
সুবেদার রামকিষাণ গ্রেওয়ালের এক পদ এক পেনশন ইস্যুতে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও ত্রুটি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যে ব্যাঙ্কে রামকিষাণের অ্যাকাউন্ট ছিল তাদের তরফেই এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ফলে কেন্দ্র ব্যাঙ্কের যে ত্রুটির কথা বলেছে তা কতটা সত্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। [OROP বিতর্ক : যেভাবে মোড় নিল গোটা বিতর্ক]
প্রাক্তন এই সেনাকর্মীর আত্মহত্যার পরে কেন্দ্রের তরফে বারবারই বলা হয়েছে যে, এটা সরকারি তরফে নয়, ব্যাঙ্কের হিসাব সংক্রান্ত ত্রুটির কারণেই পেনশন নিয়ে সমস্যা রয়ে গিয়েছিল আর তার জেরেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এই রামকিষাণ গ্রেওয়াল।
বকেয়া নির্ধারণের ভার কেন্দ্রের
রামকিষাণের আত্মহত্যার পরই রাজধানী দিল্লি সহ সারা দেশে রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হরিয়ানার ভিওয়ানিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার যে শাখার রামকিষাণের পেনশন অ্যাকাউন্ট ছিল সেই ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে রামকিষাণ পেনশন পাচ্ছিলেন। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রাম সিং জানান, কার কত বকেয়া রয়েছে তা নির্ধারণের দায় একমাত্র কেন্দ্র সরকারের। ব্যাঙ্ক শুধু নির্দেশ পালন করে টাকা দেয় মাত্র। এর বাইরে ব্যাঙ্কের কোনও হাত নেই।
নিজের প্রাপ্যের চেয়ে ৫ হাজার টাকা কম পাচ্ছিলেন রামকিষাণ
সংবাদমাধ্যমের তরফে বিশেষ তদন্ত চালিয়ে বের করা হয়েছে যে এক পদ এক পেনশন নীতি অনুযায়ী রামকিষাণের যে টাকা পাওয়া উচিত ছিল, তা হল ২৮ হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি পাচ্ছিলেন ২৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ বকেয়ার চেয়ে ৫ হাজার টাকা কম। ব্যাঙ্কের তরফেও জানানো হয়েছে যে প্রতিটি পেনশন প্রাপককে পেনশন দেওয়া হয় 'পেনশন পেমেন্ট অর্ডার' (পিপিও) অনুযায়ী। এটিকে ব্যাঙ্ক কোনওভাবে কম-বেশি করতে পারে না।
ব্যাঙ্ক জড়িত নয়
স্টেট ব্যাঙ্কের ভিওয়ানি শাখার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এতে ব্যাঙ্কের কোনও খামতি নেই। পিপিও অনুযায়ীই ব্যাঙ্ক টাকা পেমেন্ট করে। নিজেদের বাঁচাতে কেন্দ্র ব্যাঙ্ককে দোষারোপ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর জানিয়েছেন, মোট ২০ লক্ষ ৬০ হাজার সেনকর্মীর পেনশন সমস্য়া এক পদ এক পেনশন নীতি মেনে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকী রয়েছে মাত্র ১ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। সেটাও শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে বিজেপি নেতা ভিকে সিং বলেন, রামকিষাণের পেনশন বিতর্কে কেন্দ্রের কোনও হাত নেই। ব্যাঙ্কের সমস্যায় তা এতদিন কার্যকর হয়নি।
কেন্দ্রের পোর্টাল
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কার কত পেনশন হবে তার নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে পোর্টালে। সেখানে তালিকা করে নিয়মগুলি বলে দেওয়া হয়েছে। কর্মীরা অবসরের আগেই যাতে নিজে কত পেনশন পাবেন তা জেনে যেতে পারেন তার ব্যবস্থাও রয়েছে। কোনও সমস্যা হলে কর্মীরা নিজে উদ্যোগ নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন।