বিদেশি অস্ত্র আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা, কর্পোরেটাইজ করা হবে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে!
এদিন কয়লা, খনিজ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুত, বিমানবন্দর, পারমাণবিক শক্তি সহ মোট আটটি খাতে সংস্কার আনার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। সেখানেই কেন্দ্রের অস্ত্র উৎপাদনে নয়া পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এর ফলে বেশ কিছু বড় পদক্ষেপের কথাও ঘোষণা করেনি তিনি।
বিদেশি অস্ত্র আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা
এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, কিছু কিছু অস্ত্র আছে যা দেশেই তৈরি করা যায়। তাই এরকম অস্ত্র বিদেশ থেকে আর আমদানি করা হবে না। তা আমদানি করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর মেক ইন ইন্ডিয়া-র স্বপ্নকে আরও দৃঢ় করতে এই সব এখন থেকে দেশেই তৈরি হবে।
দেশেই তৈরি হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের স্পেয়ার পার্টস
পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের স্পেয়ার পার্টস আমদানি করতেও প্রতি বছর প্রচুর অর্থ খরচ হয়। কিন্তু এ বার থেকে সেগুলিও দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে। যেই স্পেয়ার পার্টস দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হবে না, কেবল মাত্রই সেগুলি বিদেশ থেকে আনা হবে। অর্থমন্ত্রী এদিন জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেই এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কর্পোরেটাইজেশন
এছাড়া অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কর্পোরেটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'কর্পোরেটাইজ মানেই প্রাইভেটাইজ করা নয়। আর পেশাদার করে তোলাই এর লক্ষ্য। এমনকি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিকে স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টিংয়েরও ব্যবস্থা করা হবে। তাহলে দেশের জনগণের সামনে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।'
প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি বিনিয়োগ
অবশ্য প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি বিনিয়োগ টানার পথে যে সরকার পিছপা হবে না তাও জানিয়ে আরও একটি বড় ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, 'প্রতিরক্ষা উৎপাদনের প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির সীমা বর্তমানের ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা হল। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কৌশলগত বিষয়ের দিকে নজর রাখা হবে।'