এবার মোগলাই পরোটার কী হবে? মুঘল গার্ডেনের নাম বদল নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের
এবার মোগলাই পরোটার কী হবে? মুঘল গার্ডেনের নাম বদল নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের
মোঘল গার্ডেনের নাম বদলে অমৃত উদ্যা ন রেখেছে মোদী সরকার। এই নিয়ে নতুন করে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিহাসের খাতায় যে গার্ডেনকে মোঘল গার্ডেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে হঠাৎ করে তার নাম বদলে অমৃত উদ্যান রেখে দেওয়াকে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিরোধীরা। তাঁরা সরাসরি মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন।
মুঘোল গার্ডেন বললে এখন আর কোনও জায়গা রাজধানী দিল্লিতে খুঁজে পাওয়া যাবে। তার নাম েখন অমৃত উদ্যান। রাতারাতি মুঘল গার্ডেনের নাম বদলে ফেলেছে মোদী সরকার। বাগানের বাইরের নেম প্লেটও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অমৃত উদ্যোন লেখা হয়েছে। এই নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। তাঁরা কটাক্ষ করে বলেছে এবার কি তাহলে মোগলাই পরোটার নাম বদলে দেবে মোদী সরকার?
বছরে একবারই সাধারণের জন্য খোলা হয় এই রাষ্ট্রপতি ভবনের গার্ডেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে কয়েকদিন। গতকাল থেকে খুলেছে এই বাগানের দরজা। তবে এবার আর মুঘোল গার্ডেন না অমৃত উদ্যানের দরজা খুলেছে। কারন মুঘল গার্ডেনের নাম বদলে হয়ে গিয়েছে অমৃত উদ্যান। বিরোধীরা এর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন। কর্মসংস্থা, মুদ্রাস্ফীতির মত একাধিক জ্বলন্ত সমস্যা রয়েছে সেদেশে সেদিকে মন দিক মোদী সরকার। বাগানের নাম বদলে মন দিয়ে সময় নষ্ট না করে মানুষের আসল সমস্যাগুলি দেখা চেষ্টা করা হোক।
তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামেরা এর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন মোদী সরকার ইতিহাস বদলে ফেলার চেষ্টা করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসবার সাংসদ জওহর সরকার টুইটে মোদী সরকারের এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি কটাক্ষ করে লিখেছেন এবার হয়তো মোগলাই পরোটার নাম বদল করে স্বর্গলোক বা ইন্দ্রলোক পরোটা নাম দেওয়া হবে। যদিও বিরোধীদের সমালোচনায় কান না দিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকেই সঠিক বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাঁরা পাল্টা দাবি করেছেন এটা নতুন ভারত। কিরেন রিজিজু থেকে শুরু করে ধর্মেন্দ্র প্রধান একের পর এক বিজেপি নেতা মন্ত্রী টুইট করে এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দাবি করেছেন।