মুখ বাঁচাতেই পুলিশকে নির্দেশ যোগীর? মাঝরাতে হাথরাসের নির্যাতিতার শেষকৃত্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
টানা ১৫ দিনের লড়াই শেষে মঙ্গতবার দিল্লিতে মৃত্যু হয় হাথরসের নির্যাতিতার। আর এরপর পরিবারের অনুপস্থিতিতেই হাথরসের নির্যাতিতার শেষকৃত্য সেরে ফেলল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, গতরাতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে আটকে রেখেই রাত আড়াইটে নাগাদ শেষকৃত্য সারা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে বচসায় নির্যাতিতার পরিবার
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে বচসায় নির্যাতিতার পরিবার। আর অসহায়ভাবে কাঁদছেন নির্যাতিতার মা। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলায় ৪ জন মিলে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল। এরপরে সেই কিশোরীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকালে মারা যায় ওই কিশোরী
ঘটনাটি ঘটে সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোরীকে আলিগড়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাঁকে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে মারা যায় ওই কিশোরী। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। বিরোধীদের নিশানায় ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
সরব বিরোধীরা
এরপরেই কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির কটাক্ষের মুখে পড়ে যোগী সরকার। হাথরসের গণধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশ। বিচার চেয়ে দিল্লির হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ভিম সেনা। বিক্ষোভকারীদের গয়াল শোনা যায় একটি স্লোগান, ফাঁসি দিন! বিজয় চকে বিক্ষোভ দেখায় মহিলা কংগ্রেস। বিরোধীদের এখন প্রশ্ন, যোগীর নির্দেশেই পুলিশ এই ঘটনা ঘটালো কিনা!
প্রশ্ন উঠছে যোগীর উপর
এদিকে ঘটনাটি ঘটার পর থেকেই নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বারবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তারা অনেক দেরিতে ব্যবস্থা নেয়৷ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তারা এখন জেলেই রয়েছে৷ যদিও পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ যদিও পুলিশের এহেন ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠল বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। প্রশ্ন উঠছে যোগীর মনোভাবের উপর।