মোদীকে 'ধাক্কা' দিতে বৈঠক দিল্লিতে! ২০১৯-র লক্ষ্যে মমতার সঙ্গে চূড়ান্ত কথা বলতে আসছেন নাইডু
যে সব রাজনৈতিক দলগুলি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বিরোধিতা করছেন, তাদের নিয়ে প্রথম বৈঠকটি হবে ২২ নভেম্বর, নয়াদিল্লিতে। সেখানেই যুক্ত ফ্রন্ট গঠন নিয়ে আলোচনা করা হবে ২০১৯-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে।
যে সব রাজনৈতিক দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বিরোধিতা করছেন, তাদের নিয়ে প্রথম বৈঠকটি হবে ২২ নভেম্বর, নয়াদিল্লিতে। সেখানেই যুক্ত ফ্রন্ট গঠন নিয়ে আলোচনা করা হবে ২০১৯-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে। এমনটাই জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা এন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অশোক গেহলট।
নাইডুর সঙ্গে গেহলট
নাইডুর সঙ্গে বৈঠকের জন্য অমরাবতীতে অশোক গেহলটকে পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে নাইডু জানিয়েছেন, তিনি রাহুল গান্ধীকে অনুরোধ করেছেন, প্রধান বিরোধীদলের নেতা হিসেবে বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। তিনি রাজি হয়েছেন, জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
জোটের প্রথম বৈটক ২২-এ
২২
নভেম্বরের
বৈঠকে
বিজেপির
বিরোধী
প্রস্তাবিত
জোটের
গঠন
নিয়ে
আলোচনা
হবে।
এছাড়াও
এগিয়ে
যাওয়ার
জন্য
পরবর্তী
ব্যবস্থা
সম্পর্কেও
আলোচনা
হবে।
সেই
বৈঠকে
মোদী
সরকারের
বিরুদ্ধে
কর্ম
পরিকল্পনা
তৈরি
করা
হবে।
নেতারা
জানিয়েছেন,
নোট
বাতিলের
মতো
সাধারণের
বিরোধী
কাজ
ছাড়াও,
সিবিআই
এবং
আয়কর
বিভাগের
ব্যবহার
নিয়ে
আলোচনা
হবে।
মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ ১৯-এ
গত কয়েকদিনে বিরোধী বিভিন্ন নেতানেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এন চন্দ্রবাবু নাইডু। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে ১৯ নভেম্বর তাঁর কলকাতা যাওয়ার কথা রয়েছে। নাইডু জানিয়েছেন, ইতি মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। যৌথ মিশনে তিনিও অংশীদার হবেন, জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জোট গঠনে চেষ্টা নাইডুর
২৩ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর দুদিন দিল্লিতে গিয়ে চন্দ্রবাবু নাইডু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ছাড়াও বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং তাঁর বাবা মূলায়ম সিং যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, ডিএমকে-র এমকে স্ট্যালিন এবং সিপিআই-সিপিএম নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন নাইডু।
বৃহস্পতিবার তিনি কর্নাটকে গিয়ে সেখানরকার মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং তাঁর বাবা এইচ ডি দেবেগৌড়ার সঙ্গেও কথা বলেন।
শনিবার নাইডু তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান নাইডু বলেছেন, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলের পরেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিকল্প জোটের জন্য নতুন করে বিন্যাস দেখা যাবে।
নভেম্বরের ১২ ও ২০ তারিখে ছত্তিশগড়ে নির্বাচন। মধ্যপ্রদেশ ও মিজোরামে নির্বাচন হবে ২৮ নভেম্বর। রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় নির্বাচন হবে ৭ ডিসেম্বর। ফল ঘোষণা হবে ১১ ডিসেম্বর।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বৈরাচারী অ্যাখ্যা দিয়ে টিডিপি ও কংগ্রেস বলেছে, গণতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতার কারণেই রাজনৈতিক দলগুলি কাছাকাছি এসে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। বিষয়টিকে খারাপ শাসনের থেকে দেশ বাঁচানোর ডাক বলেও উল্লেখ করেছেন নাইডু।
দেশের রাজনীতি দুভাগে বিভক্ত
বিকল্প জোটে কি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও থাকবেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে নাইডু বলেন, দেশের রাজনীতি পুরোপুরি দুভাগে বিভক্ত। একদল মোদীর দিকে, অন্যরা মোদীর বিরোধী। তাঁর অভিযোগ, তেলেঙ্গানার টিআরএস এবং তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে মোদীর হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। ফলে তারা কী ভাবে এই জোটে থাকতে পারেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন নাইডু।