দিল্লিতে লোকসভার ঘুঁটি সাজাতে মহাবৈঠকে বিরোধীরা, অন্যতম নেতৃত্বে মমতা
সোমবার বিজেপি তথা কেন্দ্র বিরোধী দলগুলি নিজেদের পরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠকে বসছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সংসদ অধিবেশন। এই শীতকালীন অধিবেশন ১১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। একইসঙ্গে মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলও প্রকাশিত হবে। তার আগে সোমবার বিজেপি তথা কেন্দ্র বিরোধী দলগুলি নিজেদের পরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠকে বসছে।
বিরোধীদের মহাজোট
এই বৈঠক মূলত শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লোকসভায় কীভাবে এককাট্টা হওয়া যায় তা নিয়ে। তবে এর আড়ালে এদিনের বৈঠককে লোকসভার আগে বিরোধীদের প্রথম মহাবৈঠকও বলা যেতে পারে। বিজেপির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক লড়াইয়ের সূচনা বলা যেতে পারে এই বৈঠককে।
একসঙ্গে অনেক দল
এদিন বৈঠকে কংগ্রেস, তেলুগু দেশম পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, ন্য়াশনাল কনফারেন্স, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া মার্কসিস্ট, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি, আরজেডি, এলজেডি, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির মতো হেভিওয়েট দল অংশ নেবে।
আলোচনায় নানা বিষয়
এখন কথা হল এখানে কী কী বিষয় আলোচনা হতে পারে? বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের বাড়িতে যে আয়কর হানা করছে কেন্দ্রে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের উদ্যোক্তা টিডিপি নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু।
আয়োজক চন্দ্রবাবু
গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকটি রাজ্যে গিয়ে বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করে এসেছেন নাইড়ু। কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস - সকলের সঙ্গে মধ্যস্থতা করছেন চন্দ্রবাবুই। মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগে ও ভোট পরবর্তী দুই ধরনের জোটের কথা উঠে আসতে পারে।
প্রথমবার বড় বৈঠকে আপ
এই প্রথমবার আম আদমি পার্টি এত বড় কোনও বিরোধী বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই প্রথম এত বড় বিরোধীদের মাঝে উপস্থিত থাকবেন। তার আগে ডিএমকে প্রধান এমকে স্টালিনের সঙ্গে কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ও সভাপতি রাহুল গান্ধীর বৈঠক হয়েছে।
থাকছে না বিজেডি
এই বৈঠকে বিজু জনতা দলের নবীন পট্টনায়েক ওড়িশা থেকে উপস্থিত থাকছেন না। তবে তিনি বিজেপি বিরোধী ভোট পরবর্তী জোটের সঙ্গী হবেন বলে শোনা গিয়েছে। বিএসপির পক্ষেও মায়াবতী নন সতীশ চন্দ্র মিশ্র উপস্থিত থাকছেন। কেরল, পঞ্জাব, পুদুচ্চেরির মুখ্যমন্ত্রীদেরও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। শীতকালীন অধিবেশনের পর ফের বিরোধীরা বৈঠকে বসতে চলেছে।