
বিজেপির তিন শক্তির কাছে পরাজিত বিরোধীরা! তৃণমূল কি তৈরি করতে পারছে তাদের ন্যারেটিভ, কী বলছেন প্রশান্ত কিশোর
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পরে নিজের সংস্থা আইপ্যাক (IPAC) তৃণমূলের (Trinamool Congress) সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, তিনি নিজের অন্য ভূমিকার কথা বলেছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে তাঁকে কোনও সময় কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। আবার বিজেপির (BJP) প্রশংসা করতেও দেখা গিয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) বলেছেন, বিজেপির তিন শক্তির কাছেই বিরোধীরা (opposition) পরাজিত হচ্ছে।

বিজেপির তিন শক্তির সঙ্গে বিরোধীদের লড়াই
বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দুত্বের প্রচারের মাধ্যমে বিভাজনের কথাই বেশি করে অভিযোগ করেন। তিনি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, হিন্দুত্বই সব নয়। এর সঙ্গে রয়েছে তাদের অতি-জাতীয়তাবাদী ইস্যু এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিও। এব্যাপারে বিরোধীদের সামনে সুযোগ কম বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তৃণমূলের পরামর্শদাতা বলেছেন, এই মুহূর্তে বিজেপির জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র হিন্দুত্বের জন্য নয়। তবে যেসব কারণে জনপ্রিয়তা, সেগুলির মধ্যে একটি। তবে তাদের অতি-জাতীয়তাবাদ এবং জনকল্যাণও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুযোগ কম
বাড়ি ও ব্যক্তিগতস্তরে কল্যাণমূলক প্রকল্প, জাতীয়তাবাদ এবং হিন্দুত্বকে একসঙ্গে করে বিজেপি তাদের ন্যারেটিভ তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। যদি কোনও দল বিজেপির বিরুদ্ধে অন্তত দুটি বিষয়ে নিজেদের ন্যারেটিভ শক্তিশালী করতে না পারে, তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের সুযোগ কম। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার এমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ে তফাত কেন
বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের ফলে বিজেপির জয়ে তফাত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এব্যাপারের প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, বিজেপি তুলনামূলকভাবে বিধানসভা নির্বাচনে ফল খারাপ করে থাকে। কেননা বিধানসভা নির্বাচনে আঞ্চলিকতাবাদের একটা ব্যাপার থাকে। সেখানে জাতীয়তাবাদ কাজ করে না। কিন্তু যখন সাধারণ নির্বাচন আসে, তখন জাতীয়তাবাদ ইস্যু বিজেপিকে সাহায্য করে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানো সম্ভব
তবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। ভোটকুশলী বলেছেন, তিনি একটি বিরোধী ফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা করেছেন। যদি সামনের মাসের ৫ টি রাজ্যের নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবেও দেখা হয়, সেক্ষেত্রেই বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছন প্রশান্ত কিশোর।
কিন্তু বর্তমান যেসব জোট রয়েছে, তাদের পক্ষে বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন তিনি। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, একটি নতুন জাতীয় দল গঠন না করেও জোটে সামান্য পরিবর্তন করে বিজেপিকে হারানো সম্ভব।
বিজেপিকে হারাতে প্রশান্ত কিশোর ২০১৫ সালে বিহারে মহাজোটের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেই নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর নীতীশ কুমারের দলের পরামর্শদাতা ছিলেন। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, দল ও নেতারা একসঙ্গে এলেই হবে না। তাদের ন্যারেটিভ থাকতে হবে এবং সুসংহত থাকতে হবে।

বিজেপি হারবে
হঠাৎ করে কোনও নেতা কিংবা দল বিজেপিকে হারাতে চাইলেই তা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। সেইসব দলের ৫-১০ বছর বিজেপি বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গী থাকতে হবে। যা পাঁচ মাসে সম্ভব নয়। তবে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরতে হবেই। সেটাই গণতন্ত্রের নিয়ম।
Weather Update: পারদ পতন সামান্যই, ঘন কুয়াশায় ঢাকল সূর্য! একনজরে বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়ার আপডেট