বিরোধী ঐক্যে ফাটল! মমতা-মায়াবতীকে ছাড়াই সিএএ, এনআরসি নিয়ে বৈঠকে বসছে বিরোধীরা
এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কী এনআরসি আর সিএএ নিয়ে বিরোধী ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। সিএএ, এনআরসি নিজে প্রতিবাদ জোড়াল করতে একজোট হতে চাইছে বিরোধীরা। সেকারণেই আগামিকাল এই নিয়ে একজোট হচ্ছেন বিরোধীরা। কিন্তু সেই বৈঠকে থাকবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কী এনআরসি আর সিএএ নিয়ে বিরোধী ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে।

সিএএ-এনআরসি বিরোধিতা একজোট হতে বৈঠক
সিএএ,এনআরসির বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। অবিজেপি দলগুলি মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিচ্ছিন্ন আন্দোলন না করে এই নিয়ে একজোট হতে আগামিকাল বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা অবশ্যই কংগ্রেস।

থাকছেন না মমতা-মায়াবতী
বিরোধীদের এই বৈঠকে থাকছেন না তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিরোধী ঐক্যে কী তাহলে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে মায়াবতীও কয়েকদিন আগে রাজস্থানের কোটায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন।

বিরোধী ঐক্যে ফাটলের জল্পনা
মমতা, মায়াবতীর অনুপস্থিতি নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। তাহলে কী বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরেছে। কারণ সিএএ, এনআরসি নিয়ে তেমন সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ গড়তে দেখা যায়নি কংগ্রেসকে। আবার মায়াবতীর দলও তেমন ভাবে সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি। পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস জোট এবং জোটের বনধে যে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে তাতে রীতিমত বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একনজরে দেখুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফরের দ্বিতীয় দিন