কে হবেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, মমতার ডাকা ১৭ দলের বৈঠকে সম্মিলিত আওয়াজ
কে হবেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, মমতার ডাকা ১৭ দলের বৈঠকে সম্মিলিত আওয়াজ
বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কে হবেন? তা নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি বিরোধী ১৭টি দল। সেখানে সর্বসম্মত আওয়াজ উঠলেও কে হবেন প্রার্থী তা চূড়ান্ত হল না। তবে কেমন প্রার্থী সবাই চান, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। শারদ পাওয়ারের নাম সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব হলেও তিনি রাজি নন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে।
বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাঁরা রাষ্ট্রপতি পদে এমন একজন প্রার্থী চান যিনি সংবিধান রক্ষা করবেন, এমন একজন প্রার্থী চাই যিন গণতন্ত্রকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। মোদী সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, বিরোধী কণ্ঠরোধ করছে, তার বিরুদ্ধেই সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেন ১৭ বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা।
এদিন বৈঠকে সমস্ত দলই সর্বসম্মতভাবে শারদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তিনি রাজি নন। তবে সকলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে সমস্ত বিরোধী দল হিসেবে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করাতে। মমতার ডাকা বৈঠকে উঠল সম্মিলিত আওয়াজ উঠেছে, ঐক্যবদ্ধভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের আওয়াজ উঠেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যদি শারদ পাওয়ার রাজি না হন, আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেব আমাদের প্রার্থী কে হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কে হবেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিরোধীরা প্রার্থী স্থির করবেন তখনই, যখন শরদ পাওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়াবেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যৌথ কৌশল প্রণয়নের জন্য বিরোধীদের বৈঠক হল দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়াতে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী হিসাবে শরদ পাওয়ারের নাম আবারও প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এনসিপি প্রধান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তাতেই নতুন নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে, তবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ এখানে বেশ কয়েকটি দল ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা ঐক্যমত্য হয়ে একমাত্র প্রার্থী বেছে নেব রাষ্ট্রপতি পদে। সবাই এই প্রার্থীকে সমর্থন দেবে। আমরা অন্যদের সাথে পরামর্শ করব। এদিনের বৈঠক একটি ভালো শুরুর ইঙ্গিতবাহী। আমরা বেশ কয়েক মাস পরে একসঙ্গে বসেছিলাম। আমরা আবার বসব, এটা দরকার ঐক্য রক্ষায়।
কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, সিপিআইএমএল, আরএসপি, শিবসেনা, এনসিপি, আরজেডি, এসপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, জেডিএস, ডিএমকে, আরএলডি, আইইউএমএল, জেএমএম ও তৃণমূল-এর নেতারা এই বিরোধী বৈঠকে অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের বৈঠকের মধ্যেই টুইস্ট! মমতাকে ফোন রাজনাথের
গত সপ্তাহে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ জন বিরোধী নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখেছিলেন নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি-সহ অ-বিজেপি দলগুলিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল৷ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস এবং আম আদমি পার্টি বা আপ বুধবারের বৈঠকটি এড়িয়ে যায়।