অগ্নিপথ থেকে মূল্যবৃদ্ধি! একাধিক ইস্যুতে বাদল অধিবেশনে ঝড় তুলতে পারে বিরোধীরা
আর তার আগেই একাধিক ইস্যুতে উত্তাল দেশ। বিশেষ করে অগ্নিপথ প্রকল্প সহ একাধিক ইস্যুতে ইতিমধ্যেই চাপে সরকার। অধিবেশনে এই ইস্যুতেই সরকারের উপর চাপ বাড়াতে পারেন বিরোধীরা। অধিবেশন শুরু'র আগে থেকে একাধিক নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়ে
আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। আর তার আগেই একাধিক ইস্যুতে উত্তাল দেশ। বিশেষ করে অগ্নিপথ প্রকল্প সহ একাধিক ইস্যুতে ইতিমধ্যেই চাপে সরকার। অধিবেশনে এই ইস্যুতেই সরকারের উপর চাপ বাড়াতে পারেন বিরোধীরা। অধিবেশন শুরু'র আগে থেকে একাধিক নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিশেষ করে একাধিক শব্দ ব্যবহারে নাকি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি সংসদ চত্বরে ধর্না কিংবা কোনও কর্মসূচি নেওয়া যাবে না বলেও জারি হয়েছে নির্দেশিকা।
রবিবার বৈঠকে বসেন বিরোধীরা
আর এই অবস্থায় রবিবার বৈঠকে বসেন বিরোধীরা। নয়া দিল্লিতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এই বৈঠক হয়। মূলত অধিবেশনে রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠকে বসেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যেখানে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। এমনকি কোন কোন বিষয়গুলি তুলে সরকারের উপর চাপ বাড়ানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে এবার বাদল অধিবেশন উত্তাল হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও শাসকদলের তরফে অধিবেশন শান্তিপূর্ণ ভাবে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিপদ বিতর্কে উত্তাল হতে পারে সংসদ
অগ্নিপদ বিতর্কে ইতিমধ্যে উত্তাল হয়েছে দেশ। একের পর এক ট্রেন-গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার এই ইস্যুতে উত্তাল হতে পারে বাদল অধিবেশন। অবিলম্বে এই যোজনা বাতিলের দাবিতে মোদী সরকারের উপর বিরোধীরা চাপ বাড়াতে পারে বলেই খবর। যদিও প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, সংসদের রীতি-নীতি মেনে প্রত্যেকটি ইস্যু নিয়ে সুষ্ট ভাবে আলোচনা করতে সরকার প্রস্তুত। কিন্তু বিষয়টি খুব একটা সহজ হবে না বলেই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনীতি-
এই অবস্থায় মোদী সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যবৃদ্ধি। গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পেট্রোল ১০০ ছাড়িয়েছে। প্রত্যেক জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। যাতে মধ্যবিত্তের ক্রমশ চাপ বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রত্যেকদিনই পড়ছে টাকার দাম। ফলে এই ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ নিঃসন্দেহে যে বিরোধীরা বাড়বে তা কার্যত স্পষ্ট। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে এই বিষয়েও তথ্য সরকারের কাছে চাইবে বিরোধীরা।
'unparliamentary' শব্দ- ধর্না বিতর্ক
বেশ কিছু শব্দের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগেই বুকলেট প্রকাশ হয়। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে কি কি শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। যা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এর মধ্যেই সংসদ চত্বরে ধর্নাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যা আরও বিতর্ক বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ধর্না দেব। আটকে দেখাক। ফলে এই বিষয়ে ঝড় উঠতে পারে বলে মনে করা হছে।
ইডি-সিবিআই-
বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নিয়ে বারবার মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী। এবার এই ইস্যুতেও সংসদে ঝড় তুলতে পারে বিরোধীরা।
একাধিক বিল পাস
বাদল অধিবেশনে এবার একাধিক বিল পাশ করাবে মোদী সরকার। তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।