এনআরসি আদতে জাতীয় সুরক্ষার হাতিয়ার, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিরোধীরা, গর্জে উঠলেন অমিত শাহ
সাংবাদিক সম্মেলন করে এমআরসি নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
সংসদে বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন। তবে শুরু থেকেই বিরোধীদের হট্টগোলে তা ভেস্তে যায়। তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের বক্তব্য পেশ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এনআরসি অথবা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী যা অসমে বলবতের পথে হেঁটেছে সেদেশের সরকার, তা আসলে ভারতীয়দের রক্ষার হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিন শাহ বলেন, যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে বৈধ ভারতীয়রাই স্থান পেয়েছেন। যে চল্লিশ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁরা যেকোনওভাবেই হোক নিজেদের ভারতীয়ত্বের প্রমাণ দিতে পারেননি।
এই সংখ্যক মানুষকে বহিরাগত বলে চিহ্নিত করেছেন শাহ। একই সুর বিজেপির অন্য নেতাদের গলাতেও। তবে এই চল্লিশ লক্ষের সকলেই যে বিপদে পড়বেন তা বোধহয় নয়।
শাহ বলছেন, এটা প্রাথমিক তালিকা। এর মধ্যে যাদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁরা ফের তথ্যপ্রমাণ সহ আবেদন করতে পারবেন। সেগুলি খুঁটিয়ে দেখা হবে। যেই প্রমাণপত্র ঠিক থাকলে তবেই ভারতীয় হিসাবে তাঁদের মেনে নেওয়া হবে। ফলে রাস্তা যে অনেকটা দীর্ঘ তা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন শাহ।
[আরও পড়ুন:দিলীপ-কৈলাশদের এনআরসি-তত্ত্ব খারিজ অমিতের, বাংলায় এখনই নাগরিকত্ব যাচাই নয় ]
বিরোধীরা আগে থেকেই সারা দেশে হইচই করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষের মনে বিরূপ মনোভাব তৈরি করতে চাইছে। যদিও এই নাগরিকপঞ্জী তৈরির চুক্তি ১৯৮৫ সালে কংগ্রেস আমলে শুরু হয়। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এর পুরোধা ছিলেন। তবে এতবছর সরকারে থেকেও কংগ্রেসের সাহস হয়নি এই পঞ্জী তৈরি করার। তবে বিজেপি ভোট রাজনীতির কথা না ভেবে অসমের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হয়েছে বলে শাহ দাবি করেছেন।
[আরও পডুন:মমতা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছেন! দোসর কংগ্রেস, 'গৃহযুদ্ধ'-নিশানার পাল্টা অমিতের]
অসমের যুবসমাজই এই আন্দোলন শুরু করেছিল। সেরাজ্যের রুজি-রোজগারে সমস্যা তৈরি করেছে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা। তাই অসমের মানুষের কথা চিন্তা করে ভোট রাজনীতির কথা না ভেবে বিজেপি সরকার এই পদক্ষেপ করেছে বলে অমিত শাহ স্পষ্ট করেছেন।