মিলল একমাত্র উপায়! মোদীকে সরাতে পথ খুঁজে পেল কংগ্রেস
যতটা পারা যাবে ২০১৯-এর আগে বন্ধু দলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এই পন্থাই বেছে নিয়ে চায় প্রধান বিরোধী কংগ্রেস।
যতটা পারা যাবে ২০১৯-এর আগে বন্ধু দলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এই পন্থাই বেছে নিয়ে চায় প্রধান বিরোধী কংগ্রেস। বিভিন্ন বড় রাজ্যে ইতিমধ্যেই সেখানকার স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে কথা চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর দল। কোনও কোনও জায়গায় তা চূড়ান্ত পর্যায়েও পৌঁছে গিয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিকদের সঙ্গে কথা চলছে। জানিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। বিজেপি ছাড়া কংগ্রেসই হল দ্বিতীয় দল যাঁদের সারা ভারতব্যাপী সংগঠন রয়েছে।
চিদাম্বরম এর আগে জানিয়েছিলেন, যদি কংগ্রেস রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী জোট গড়ে তুলতে পারে, তাহলে সংসদে গরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভব। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাই এটাই সব থেকে ভাল উপায় বলে বর্ণনা করেছেন পি চিদাম্বরম।
সামনে কঠিন যুদ্ধ। কিন্তু কংগ্রেস এখনও সেরকম কোনও রাজনৈতিকদলের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করতে পারেনি। অন্যদিকে, জনপ্রিয়তার নিরিখে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দেশে মোদীই প্রথমে রয়েছেন। খুব সহজেই তিনি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত বিরোধীদের পরাজিত করতে পারবেন বলে আশাবাদী বিজেপি।
মহাজোটে সম্ভাবনা দেখা দিলেও, দেশে বিনিয়োগের পক্ষে বিষয়টি বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বিষয়টি তাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। বিজেপির তরফে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে, কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ছাড়া দেশে সংস্কার প্রক্রিয়া চালানো অসম্ভব।
ইতিমধ্যেই একাধিক ছোট নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে, কংগ্রেস যদি অন্য দলগুলির সঙ্গে জোট তৈরি করতে পারে তাহলে সাফল্য আসতে পারে। সঠিক জোট হলে লড়াই যে সেয়ানে সেয়ানে হবে, তা উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। যার অন্যতম উদাহরণ উত্তরপ্রদেশ।
[আরও পড়ুন:'পরপর ধর্ষণের ঘটনায় চুপ মোদী, লজ্জায় মাথা হেঁট দেশের', তোপ রাহুলের]
অন্যদিকে আঞ্চলিক দলগুলি জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী দুই মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন।
[আরও পড়ুন:উলটপুরান! কংগ্রেসের ভূয়সী প্রশংসায় মোহন ভাগবত, দিলেন মিশন ২০১৯-এর 'বার্তা']
যদিও বিরোধীদের সব চেষ্টা হেলায় উড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি। তাদের দাবি, উপনির্বাচনগুলি হয়েছিল স্থানীয় ইস্যুর ওপর। কিন্তু একটা লোকসভা নির্বাচনে তা হয় না।
[আরও পড়ুন:এনআরসি-র পরে এবার বাংলায় সিএবি চালুর দাবিতে সরব আরএসএস]