ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও মোদীর পথ নিষ্কন্ঠক নয়, এবিপি আনন্দ ও সি ভোটার-এর জনমত সমীক্ষায় দাবি
এই মুহূর্তে দেশে লোকসভা ভোট হলে কী হবে? এমন প্রশ্ন নিয়ে আম জনতার দরবারে পৌঁছেছিলো এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষা।
এই মুহূর্তে দেশে লোকসভা ভোট হলে কী হবে? এমন প্রশ্ন নিয়ে আম জনতার দরবারে পৌঁছেছিলো এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষা। এই জনমত সমীক্ষায় যা দেখা যাচ্ছে তাতে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বহু পিছনে পড়ে রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এমনকী বর্তমানে দেশে যা পরিস্থিতি তাতে যদি ভোট হয় তাহলে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট অনেক যোজন এগিয়ে। এমনকী ইউপিএ এবং অন্য়ান্য-রা যদি গণনার পরে জোটও করে তাহলেও এনডিএ জোট-এর নম্বর ছুঁতে পারবে না এরা।
এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষায় এই মুহূর্তে দেশে লোকসভা নির্বাচন হলে কোন জোটের কত আসন প্রশ্নে যে উত্তর সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এনডিএ জোটের দখলে যাবে ৩০০টি আসন। ইউপিএ জোট পাবে সর্বাধিক ১১৬টি আসন। অন্য়ান্যদের আসন সংখ্য়া ইউপিএ-র থেকেও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে অন্য়ান্যরা পেতে পারে ১২৭টি আসন।
এই প্রসঙ্গেই দেখা গিয়েছে দলের ভিত্তিতে বিজেপি-র পকেটে যেতে পারে ২৭০টি আসন। এর মানে এনডিএ জোট যদি ৩০০টি আসন পায় তারমধ্যে ২৭০টি আসন-ই বিজেপির হওয়ার সম্ভাবনা। কংগ্রেস পেতে পারে ৮৯টি আসন। যা বিজেপি-র থেকে অনেক অনেক কম।
কে কত শতাংশ ভোট পেতে পারে- সে ছবিটাও এই সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছে। এনডিএ জোট ৩৮ শতাংশ, ইউপিএ ২৬ শতাংশ এবং অন্য়ান্য-রা ৩৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে। দেখা যাচ্ছে ভোট শেয়ারিং-এও ইউপিএ-র থেকে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি ভোট যেতে পারে অন্যান্যদের ঝুলিতে। এক্ষেত্রেও ইউপিএ-র অবস্থাটা খুব একটা সুখদায়ক নয়।
উত্তর প্রদেশে মহাজোট হলে অবশ্য অঙ্কটা অনেক বদলে যেতে পারে বলেই দাবি করা হয়েছে এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষায়। সেক্ষেত্রে এনডিএ- ঝুলিতে যেতে পারে ২৬১টি আসন। ইউপিএ ১১৯ এবং অন্য়ান্যরা ১৬৩টি আসন পেতে পারে। সুতরাং, ইউপিএ এবং অন্য়ান্য-দের প্রাপ্ত আসন সংখ্য়া মেলালে তা কিন্তু এনডিএ-এর প্রাপ্ত আসন সংখ্য়া-কে পেরিয়ে যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার-এর এই জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কিন্তু কমছে এবং সামান্য হলেও জনপ্রিয়তা বাড়ছে রাহুল গান্ধীর। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে পছন্দ- নরেন্দ্র মোদী না রাহুল গান্ধী? এই প্রশ্নের উত্তরে সমীক্ষায় যে ফল বেরিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা এরকম- ২০১৭ সালে এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার-এর সমীক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা ছিল ৬৯ শতাংশ, রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা ছিল ২৬ শতাংশ। দু'জনের কাউকেই পছন্দ নয় বলে মত দিয়েছিলেন ৫ শতাংশ মানুষ। ২০১৮ সালের জানুয়ারি এই একই সমীক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা ৬৬ শতাংশ এবং রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা ২৮ শতাংশ দাঁড়ায় বলে এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল। এই যাত্রায় দু'জনের কাউকেই পছন্দ নয় বলে মত দিয়েছিলেন ৬ শতাংশ মানুষ। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরও একই রকম এক সমীক্ষায় চালিয়েছিল এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার। তাতেই সামনে আসে যে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা নামতে-নামতে ৬০ শতাংশে এসে দাঁড়়িয়েছে। আর সেখানে রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তার বৃদ্ধি ঘটে দাঁড়িয়েছ ৩৪ শতাংশ। দু'জনের কাউকে পছন্দ নয় প্রশ্নে মত দিয়েছিলেন ৬ শতাংশ মানুষ। সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসেও একটি সমীক্ষা করে এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার, সেখানেও দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা নেমে এসেছে ৫৬ শতাংশ। রাহুলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। দু'জনের কাউকে পছন্দ নয় প্রশ্নে মত দিয়েছেন ৮ শতাংশ মানুষ। এই চার্টেই প্রমাণ যে কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা পড়ছে আর রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি জনপ্রিয়তায় মোদীকে চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়তে সমর্থ হবে নরেন্দ্র মোদী। সেটাই এখন দেখার।
[আরও পড়ুন: নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, শুক্রবার কলকাতায় কমিশনের দফতর ঘেরাও কর্মসূচি শিক্ষকদের]
[আরও পড়ুন: Dailyhunt Survey: মোদীকেই দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে চায় দেশ, দাবি সর্ববৃহৎ সমীক্ষায় ]