এনডিএ-র প্রবেশিকায় বসার সুযোগ মহিলাদেরও, সেনাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
এনডিএ-র প্রবেশিকায় বসার সুযোগ মহিলাদেরও, সেনাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
বুধবার সকালেই খবর মিলেছে শীঘ্রই দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিতে পারেন এক মহিলা আইনজীবী। এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হলে স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের ইতিহাসে তা হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অন্যদিকে সেনা অ্যাকাডেমির প্রবেশিকাতেও এবার বসার সুযোগ পেতে চলেছেন মহিলারা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে। এমনকী এতদিন মহিলাদের জন্য এই দরজা না খোলার জন্য ভারতী সেনাকে 'প্রতিক্রীয়াশীল’ বলেও তোপ দাগা হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে।
যুগান্তকারী রায় শীর্ষ আদালতের
প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির প্রবেশিকায় মহিলাদের বসার সুযোগ নিয়ে বিতর্ক চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এদিকে সেনাবাহিনীর তিন শাখায় ভর্তির পরীক্ষায় মহিলারা কেন বসতে পারবে না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি সম্প্রতি একটি মামলা রুজু হয়। তারপরেই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি বা নৌবাহিনীর অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের ভর্তি না হতে দেওয়ায় কখনওই নাকি তাঁদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে না। এমবকী লঙ্ঘিত হয় না তাদের সামাজিক অধিকারও।
কেন্দ্রের সুরেই সাফাই সেনার
এমনকী এদিন শুনানি চলার সময়ে এই ব্যাপারে এদিন সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও একই যুক্তি তুলে ধরা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেনার দাবি নীতিগত কারণেই মহিলাদের এনডিএ-র পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না। যদিও তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। পাশাপাশি স্পষ্ট ভাষায় এও জানানো হয় সেনাবাহিনীর ওই যুক্তি সম্পূর্ণ ভাবে লিঙ্গ বৈষম্য পরিপূর্ণ। এটা মেনে নেওয়া মানে নারী সমাজকেই আরও একধাপ পিছনে ঠেলে দেওয়া।
ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার
এদিকে বর্তমানে বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয়কিষাণ কৌলের ডিভিশন বেঞে এই মামলার শুনানি চলছে বলে জানা যাচ্ছে। মামলা করেছেন আইনজীবী কুশ কারলা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণিয়ম। আইনজীবী কারলার সাফ দাবি এনডিএ পরীক্ষায় মহিলাদের বসতে অনুমতি না দেওয়ায় আদপে সংবিধানিক অধিকারই ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। গুরুত্ব পাচ্ছে না সমানাধিকারের বিষয়টিও।
দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের পরেই চাপে কেন্দ্র
এদিকে এই সংক্রান্ত মামলায় আগেই মহিলা সেনা আধিকারিকদের পক্ষে রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। যদিও তার বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকার। এবার সেখানেও তাদের মুখ পুড়ল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ব্যাপারে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়ে নোটিশও পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। নোটিশ যায় ইউপিএসসি-র কাছে।