‘বাস্তবটা বুঝুন’,করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর আবেদনের তীব্র নিন্দা বিরোধীদের
‘বাস্তবটা বুঝুন’,করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর আবেদনের তীব্র নিন্দা বিরোধীদের
দেশ কাঁপছে করোনা জ্বরে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। গৃহবন্দী মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। গোটা বিশ্ব চাতকের মত চেয়ে আছেন সুদিনের আশায়। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াই: এই অন্ধকারময় পরিস্থিতি কাটাতে রবিবার রাত ৯ টার সময় ৯ মিনিটের জন্য টর্চ, প্রদীপ, ফ্ল্যাশ লাইট, মোমবাতি জ্বালানোর আবেদন জানান তিনি। ঘোষণার পরেই তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা, ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলেও।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
পূর্বনির্ধারিত সূচী অনুযায়ী আজ সকাল ৯ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,"সবার কাছে ৯ মিনিট সময় চাইছি আমি, আগামী ৫ই এপ্রিল যে যেখানে আছেন ঘরের আলো নিভিয়ে বারান্দায় বা জালনার সামনে দাঁড়িয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালান। মা ভারতীর নাম নিন। এতে বোঝাযাবে, ১৩০ কোটি মানুষ একসাথে লড়ছে। এরফলে লড়াইতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে"। এর আগেও দেশের ডাক্তারদের সম্মান জানাতে গত ২২ শে মার্চ জনসাধারণকে থালা-বাটি বাজানোর অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নিন্দায় সরব কংগ্রেস নেতা শশী থারুর
আজ ঘোষণার পরেই প্রধানমন্ত্রীকে শোম্যান বলে তীব্র কটাক্ষ করে একটি টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, " "প্রধান শোম্যানের কথা শুনলাম। এই দুর্দশার সময়ে মানুষের কষ্ট, তাদের আর্থিক উদ্বেগ কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে কোনো বক্তব্য নেই প্রধানমন্ত্রীর। ভবিষ্যতের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি বা লকডাউন-পরবর্তী সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও কোনো ঘোষণা নেই। ভারতের ফটো-ওপি প্রাইমমিনিস্টার শুধু ফিল গুড ফ্যাক্টর নিয়েই থাকতে চান!"
"বাস্তবটা বুঝুন" কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের
দেশে একতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর নির্দেশকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন "বাস্তবটা বুঝুন, এই মুহূর্তে দিনমজুরদের আর্থিক সাহায্য নিশ্চিত করুন, লকডাউনের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। ভুয়ো খবর বন্ধ করার নামে প্রকৃত বাস্তব চাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না"।
ঘটনাকে কটাক্ষ পি.চিদম্বরম, সিতারাম ইয়েচুরি সহ আরো অনেকের
কটাক্ষ করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও । দেশ লকডাউনের কারণে আর্থিক ভাবে ধুঁকছে, এই সময় দেশের আর্থিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনাচিন্তা করার জন্যেই নরেন্দ্র মোদিকে পরামর্শ দিলেন তিনি। এছাড়াও এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি, কপিল শিবল, নবাব মালিক সহ আরো অনেকেই। ইতিমধ্যেই,ঘটনাকে হাস্যকর ভেবে মিমে মেতেছেন নেটিজেনমহল।