মোদীর ডাকে সাড়া দিলেন না ওঁরা, এক দেশ এক ভোট বিতর্কে বিরোধী ঐক্যে জোর
মোদী সরকার দ্বিতীয় সংস্করণের অধিবেশন শুরুর পর প্রথম সর্বদলেই বিরোধী ঐক্য ফুটে উঠল। নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার কথা সর্বাগ্রে ঘোষণা করেছিলেন
মোদী সরকার দ্বিতীয় সংস্করণের অধিবেশন শুরুর পর প্রথম সর্বদলেই বিরোধী ঐক্য ফুটে উঠল। নরেন্দ্র মোদির ডাকা সর্বদল বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার কথা সর্বাগ্রে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাহুল, চন্দ্রবাবু, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও এম কে স্ট্যালিন- কেউই যোগ দিলেন না সর্বদলে।
যারা নেই সর্বদলে
কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে ও তেলেগু দেশম পার্টির এই বৈঠক-বয়কটে ফের বিরোধী ঐক্যের সুর চড়ল। একইসঙ্গে ধাক্কা খেল মোদীর ‘এক দেশ এক ভোট' পরিকল্পনা। মোদী সরকারের প্রথম সংস্করণেই এই দাবি উঠেছিল। তারপর দ্বিতীয় সংস্করণের প্রথমেই নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং এই দাবি উত্থাপণ করে দিলেন।
এক দেশ এক ভোট তত্ত্ব
মোদী বলেন, বারবার নির্বাচন হওয়ায় সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে। দেশে বারবার থমকে যাচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজ। এই সমস্যার সমাধানে বিধানসভা, লোকসভা ও পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট একসঙ্গে করাই তাঁর উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই তিনি সর্বদল বৈঠক ডাকেন। যে সমস্ত দলের সাংসদ রয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভায়, সেইসমস্ত দলের সভাপতিদের তিনি বৈঠকে ডাকেন।
যাদের সাড়া মোদীর ডাকে
সেইমতো প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, জাতীয় কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লা, আকালি দলের সুখবর সিং বাদল, বিজেডি সুপ্রিমো তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, পিডিপি-র মেহবুবা মুফতি, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেডি প্রমুখ। এছাড়াও সর্বদলীয় বৈঠকে ছিলেন বিজেপির পক্ষে রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নীতীন গডকড়ী ও জে পি নাড্ডা।