আফিম আসক্তির কবলে আমেরিকা, ভারতের অবস্থা নিয়ে প্রশাসন ও চিকিৎসকরা কী বলছেন
আফিম আসক্তি মহামারির আকার নিয়েছে মার্কিন মুলুকে। বিপদের মুখে প্রশাসনের পাশাপাশি নড়েচড়ে বসেছেন চিকিৎসকরাও। অন্যদিকে,ভারতেও বিপদ কয়েক গুণ বেশি হলেও, বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসন, চিকিৎসকদের।
আফিম আসক্তি মহামারির আকার নিয়েছে মার্কিন মুলুকে। বিপদের মুখে প্রশাসনের পাশাপাশি নড়েচড়ে বসেছেন চিকিৎসকরাও। অন্যদিকে,ভারতেও বিপদ কয়েক গুণ বেশি হলেও, বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসন কিংবা চিকিৎসকদের মধ্যে।
নতুন
রূপে
উপস্থিত
হয়েছে
পুরনো
ব্যাধি।
তবে
মার্কিন
চিকিৎসকরা
বলছেন
যে
এটা
একটা
নতুন
ধরনে
মহামারি।
অন্তত
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের
ক্ষেত্রে।
একটা
সময়
আফিমের
নেশায়
বুঁদ
ছিল
যুব
সমাজ।
মাফিয়াদের
দৌলতে
অন্ধকারে
তলিয়ে
যাচ্ছিল
যুব
সমাজ।
কড়া
প্রশাসনের
জেরে
তা
কমলেও
এখন
তা
আবার
মাথাচাড়া
দিয়েছে
অন্য
ভাবে।
এবার
যুক্ত
হয়েছে
আফিম
জাত
ওষুধের
আশক্তি।
২০১৪
ন্যাশনাল
সার্ভে
অন
ড্রাগ
ইউজ
অ্যান্ড
হেলথ
-এর
পরিসংখ্যান
অনুযায়ী
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে
এই
ধরনের
আফিমজাত
ওষুধে
আশক্ত
মানুষের
সংখ্যা
কম
করে
দুই
মিলিয়ন।
সংখ্যাটা
লাফিয়ে
বাড়ছে।
শুধু
তাই
নয়,
প্রত্যেকদিন
কম
করে
শতাধিক
ব্যক্তি
এই
আফিমজাত
ওষুধের
ওভারডোজে
আক্রান্ত
হচ্ছেন।
একটা
বড়
অংশ
মারাও
যাচ্ছেন।
২০১৫
সালে
২০,০০০
জন
আফিম
জাত
ওষুধের
ওভারডোজে
মারা
যান।
ঘটনা
হল,
পুলিশ
ও
প্রশাসনের
তরফে
কঠোর
নজরদারির
পাশাপাশি
ডাক্তারদের
একাংশ
আফিমজাত
ওষুধের
ব্যবহার
কমানোর
জন্য
অভিযান
শুরু
করেছেন।
তাঁদের
অন্যতম,
মধুকর
রেড্ডি
কাসারলা।
যিনি
বর্তমানে
পার্কওয়ে
সার্জিক্যাল
এবং
টেক্সাসের
কার্ডিও
ভ্যাসকুলার
হসপিটালের
সঙ্গে
যুক্ত।
কী
ভাবে
এই
ধরনের
ওষুষের
নেশা
জন্মায়?
এই
ধরনের
ওষুধ
মূলত
ক্যান্সার
আক্রান্ত
রোগীদের
শরীরের
প্রবল
যন্ত্রণা
এবং
বড়
অপারেশন
পরবর্তী
যন্ত্রণা
থেকে
নিষ্কৃতির
জন্য
ব্যবহার
হয়।
মধুকর
রেড্ডি
কারসালার
মতে,
এই
ওষুধ
ব্যবহার
করতে
করতে
অনেকেই
এর
আসক্ত
হয়ে
যান।
প্রেসক্রিপন
না
মেনে
ব্যবহার
শুরু
হয়।
অ্যাডিকশনও
বাড়ে।
ওভারডোজের
ফলে
বিপদ
বাড়ে।
এমনকি
অনেকের
মৃত্যুও
হয়।
তাঁর
মতে
এই
আফিমজাত
ওষুধ
নির্ভরশীলতা
ব্যবহারকারীর
লিভারেও
ক্রমাগত
প্রবল
ভাবে
আঘাত
করে
অকেজো
করে
দেয়।
তাই
মধুকরের
নেতৃত্বে
একটি
বিশেষ
গাইড
লাইন
তৈরি
হয়েছে,
ওপিয়ামজাত
ওষুধ
কখন
ও
কতটা
ব্যবহার
করা
যাবে
তা
নিয়ে।
ভারতের
বিপদ
কিন্তু
আরও
কাছে।
সময়ে
সতর্ক
না
হলে
বিপদ
আরও
বেশি।
অভিমত
অন্য
এক
চিকিৎসক
অরুণ
চৌধুরীর।
বর্তমানে
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে
আরকানসাসে
একটি
স্বেচ্ছাসেবী
হাসপাতালের
অধিকর্তা
তিনি।
মেডিকেল
কলেজ,
দিল্লি
এইমস
আর
হার্ভার্ড
মেডিকেল
স্কুলের
এই
প্রাক্তনী
বলছেন,
এখনই
এ
দেশের
চিকিৎসকদের
সজাগ
ও
সতর্ক
হওয়া
জরুরি।
না
হলে
পরিস্থিতি
হাতের
বাইরে
চলে
যাবে।
কারণ,এই
ধরনের
বেশকিছু
ওষুধ
ইতিমধ্যেই
শহরাঞ্চলে
নেশার
জন্য
ব্যাপকভাবে
ব্যবহার
হয়
বলে
ভারতের
বিভিন্ন
সার্ভেতে
জানা
গিয়েছে।
এই
বিপদ
সম্পর্কে
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদীও
"মন
কি
বাত
"
অনুষ্ঠানে
দেশের
যুব
সমাজকে
সতর্ক
করেছেন।
এ
ছাড়া
দিল্লি
এইমসের
থেকেও
সতর্ক
করা
হয়েছে।
ছোট করে জেনে নেওয়া যাক, টিম মধুকরের গাইড লাইন
- ওপিয়ামজাত ওষুধ লেখার আগে জেনে নিন রোগী স্লিপ অ্যাপনিয়া-সিওপিডি-ওবেসিটি-হৃদরোগে ভুগছেন কিনা, তাহলে দেবেন না।
- এ ছাড়া দেখতে হবে ম্যাসাজ করে, স্টেরয়েড, পেশিকে হাল্কা করার ওষুধে কাজ হচ্ছে কিনা। না হলে, অগত্যা ওপিয়ামজাত ওষুধ ব্যবহার করতে বাধ্য।