সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদ নিয়ে মোদীকে চিঠি আমলাদের, আর কি লিখলেন তাঁরা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি প্রাক্তন আমলাদের। জাতীয়তাবাদ ও অতি জাতীয়তাবাদ নিয়ে ফারাক বোঝালেন প্রাক্তন আমলারা। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ।
দেশজুড়ে বাড়ছে অতি জাতীয়বাদ, সেইসঙ্গে বাড়ছে স্বেচ্ছাচারিতাও, অনুগ্রহ করে এসব বন্ধ করুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি দিয়ে এমনই আর্জি জানিয়েছেন ৬৫ জন প্রাক্তন আমলা। সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী যাঁরাই এই দমন করার মতাদর্শের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁদেরকেই বিদ্রুপ, হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বেচ্ছ্বাচারিতা ও অতি জাতীয়তাবাদের কারণে আলোচনার কোনও জায়গা থাকছে না বলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে জানিয়েছেন তাঁরা।
বর্তমানে দেশে যে বা যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই রাষ্ট্র- বিরোধী তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মোদীকে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছেন তাঁরা। সরকার বিরোধী মানেই যে দেশ বিরোধী নয়, তাও চিঠিতে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই চিঠিতে সই করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জওহর সরকার, প্রাক্তন তথ্য- সম্প্রচার সচিব ভাস্কর ঘোষ, প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবউল্লাহ,মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন প্রধান জুলিও রেবেইরো,প্রাক্তন আমলা ও সমাজকর্মী অরুণা রায় ও হর্ষ মন্দর,প্রাক্তন আইএফএস দেব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন আইপিএস রাহুল শর্মা সহ আরও অনেকে।
মূলত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই চিঠি বলে জানিয়েছেন ওয়াজাহাত হাবিবউল্লাহ। অতি জাতীয়াবাদ মানে, সরকারের সঙ্গে না থাকলেই, দেশের শত্রু, এই চিন্তাভাবনা রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক বলেই মন্তব্য করেছেন হাবিবউল্লাহ। চিঠিতে উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ আলাদা করে তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক রেখা টানার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি কসাইখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়েছে। কসাইখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরাসরি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবিকার ওপর আঘাত বলে মোদীকে চিঠিতে লিখেছেন প্রাক্তন আমলারা।
দিন দিন বাড়তে থাকা এই প্রথাকে শেষ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। সরাসরি না হলেও এই চিঠিতে বিচার ব্যবস্থাকেও নিরপেক্ষ হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার পরামর্শ দেওয়া নিয়েই সম্ভবত বিচারপতিদের ওপর প্রাক্তন আমলাদের ক্ষোভ বলে মনে করা হচ্ছে।