মদ্যপ অবস্থায় গোলাগুলি দুই প্রতিবেশীর, নিহত এক পরিবারের তিন জন
গোলাগুলিতে রাজস্থানে মারা গেলেন তিন জন। তিন জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। রাজস্থান ভরতপুরে জেলায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে যে, দুই বন্ধুদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল মদ খাওয়া নিয়ে। সেটাই বিশ্রী জায়গায় পৌঁছে যায়, বাড়ির মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যেই একজন পরিবারের অপরদিকে গুলি করে দেয়।
যিনি মারা গিয়েছেন তাদের গজেন্দ্র রাজস্থান আর্মড কন্সটাবুলারিতে এবং আরেকজন যিনি মারা গিয়েছেন পুলিশ কন্সটেবলের চাকরি করতেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুমহের থানা এলাকায়। এদের মধ্যেই ঝামেলা হওয়ার মাঝে লক্ষণ সিং এবং তাঁরা সঙ্গীরা সরাসরি গুলি করে দেয় বন্ধুদের পরিবারের উপর। আগে তাদের মধ্যে হয় বচসা। আর তা নিয়েই পুলিশ এই কথা বলেছে।
গজেন্দ্র , সমন্দর এবং ঈশ্বর মারা যায় একদম ঘটনাস্থলেই। একজন মহিলাও আহত হয়েছেন গুলিতে। এরপরেই তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি কমিউনিটি হেলথ কেয়ারে। সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় জয়পুরে কারণে তাদের অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়েছে।
আসলে লক্ষণ সিংয়ের গজেন্দ্র সিংয়ের ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। যার নাম টনি। তাদের মধ্যেই মদ খাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। আর সেই ঘটনা এই জায়গায় পৌঁছে যায়। ভরতপুরের এসএসপি অনিল মিনা বলেছেন যে, " যারা মারা গিয়েছে এবং যারা গুলি করেছে তাদের বাড়ি একদম পাশাপাশি। লক্ষণ সিং এবং টনি এরা দুজনে বন্ধু। মদ খেতে গিয়ে গত ২৪ নভেম্বর দু'জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সমস্যা সমাধান করেছিলেন গ্রামের প্রধান। তবে লক্ষণ টনির পরিবারের উপর সরাসরি গুলি করে এবং মারা যায় তিন জন।"
প্রাথমিক তথ্য মারফত জানা গিয়েছে যে, লক্ষণ সিং মোটেই ভদ্রলোক নয়। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। সে একজন সমাজবিরোধী বললেও ভুল হয় না। থানায় বহু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। লক্ষন সিং এবং তাঁর পরিবার এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে এই ঘটনার পর থেকে। পুলিশও ছাড়বাড় পাত্র নয়। তাদের খুঁজছে।
এরই মধ্যে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে গিয়েছে। এবং এর ফলে ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজস্থান আর্মড কন্সটাবুলারিতে গজেন্দ্র পোস্টিং ছিলেন। তবে তাঁর বন্ধুর পরিবারের ছেলে যে তাদের পরিবারের উপর এত বড় হামলা করবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। গুলিতে নিহত হয়েছেন এক পরিবারের তিন জন।