২০ বছরের পুরনো 'মোদী ফর্মুলা'-ই মধ্যপ্রদেশে বিজেপির গদি বাঁচাতে পারে বিজেপির
মধ্যপ্রদেশে দুই দশক পুরনো 'মোদী ফর্মুলা'ই গদি বাঁচাতে পারে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের।
মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সাফল্যের জন্য বাতলে দেওয়া দুই দশক পুরনো 'মোদী ফর্মুলা'ই গদি বাঁচাতে পারে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের। সেই ফর্মুলার সুফল ভোগ করেই একটানা ১৫ বছর মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। যদি বিজেপিকে কেউ বাঁচাতে পারে তাহলে সেই ফর্মুলাই পারবে।
মোদীকে দায়িত্ব
নব্বইয়ের দশকে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়। সেইসময় তাঁকে ডাকা হতো মাস্টার সাহিব নামে। যেভাবে তিনি মধ্যপ্রদেশে কাজ করেছিলেন তা একরকম মিরাক্যাল বলা যেতে পারে।
বড় প্রতিপক্ষ
১৯৯৮ সালের ভোটে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি প্রথমবার বড় প্রতিপক্ষ হিসাবে উঠে এসেছিল। সেইসময়ে সারা দেশে সবচেয়ে মজবুত ঘাঁটি মধ্যপ্রদেশেই ছিল বিজেপির। তার অনেকটা প্রশংসা মোদীরও প্রাপ্য।
দায়িত্ব গ্রহণ
১৯৯৮ সালে কুশাভাই ঠাকরে মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তিনি হন প্রদেশ সভাপতি। তবে তাঁর ঘরানা বেশ আদিম ছিল। তিনি প্রথার বাইরে বেরোতে পারেননি। মূলত সংঘ পরিবারের সঙ্গে জড়িতদের ওপরই ভরসা রেখেছিলেন।
নেতাদের তুলে আনা
তবে মোদী মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ইনচার্জ হয়ে এসেই একাধিক বদল আনেন। সেইসময়ে দলের অনেক নেতাই তা ভালোভাবে নেননি। তবে সুন্দর লাল পাটওয়া, বিক্রম বর্মা, কৈলাশ জোশী, উম ভারতীদের মোদী প্রাধান্য দেন। বিশেষ করে তপশিলি জাতি-উপজাতিদের যেখানে অতটা মান্যতা দেওয়া হতো না, সেখানে মোদী জোর দেন।
মোদী ফর্মুলায় নজর
বলা যেতে পারে সমাজের একেবারে তলানিতে থাকা শ্রেণিতে হিন্দুত্বের ছাতার তলায় নিয়ে আসার কাজ মধ্যপ্রদেশে করে দেন মোদী। অনেকে সেই সময় কড়া বিরোধ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি। যার ফল ২০০৩ সালের ভোটে পায় বিজেপি। একটানা ১৫ বছর সেরাজ্যে সরকার গঠন করে ক্ষমতায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই উচ্চবর্ণের পাশাপাশি যে প্রান্তিক শ্রেণি বিজেপির উত্থানে বড় অবদান রেখেছিল, পারলে সেই শ্রেণিই গদি বাঁচাতে পারে।