দাম কমছে পেঁয়াজের, তবে অন্য দুশ্চিন্তার কথা শোনালেন কৃষকরা
দাম কমছে পেঁয়াজের, তবে অন্য দুশ্চিন্তার কথা শোনালেন কৃষকরা
পেঁয়াজের
আকাশছোঁয়া
দাম
থেকে
এবার
ধীরে
ধীরে
মুক্তি
পেতে
চলেছে
দেশবাসী।
কারণ
পাইকারি
ও
খুচরো
বাজারে
নতুন
পেঁয়াজ
ঢুকতে
শুরু
করায়
এবার
তার
দাম
কমবে
বলে
আশাবাদী
বিক্রেতারা।
জানা
গিয়েছে,
দেশের
কৃষিজ
পণ্য
উৎপাদন
বাজার
কমিটি
(এপিএমসি)–এর
কাছে
নতুন
পেঁয়াজের
আমদানি
হওয়ায়
গুজরাট,
মহারাষ্ট্র
ও
রাজস্থানে
পেঁয়াজের
দাম
একটু
হলেও
কম
হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দেশের কিছু শহরে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১৫০–২০০ টাকা ছিল, যা ১০০ টাকায় নেমে এসেছে। অন্যদিকে একটু নিম্নমানের পেঁযাজের দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি অংশে সরবরাহ কম হওয়ার কারণেই পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য হয়ে গিয়েছিল। এটি খুচরো বিক্রেতাদের কাছে খুশির খবর হলেও কৃষকরা পরবর্তী দু’মাস ধরে সরবরাহের ঘাটতি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা দু’জনেই জানিয়েছেন যে বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজের রেকর্ড দামের সাক্ষী থেকেছেন সবাই, কারণ পেঁযাজের চাষ কম হওয়ায় উৎপাদন ও সরবরাহে ঘাটতি থেকে গিয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে সরকারকে তুরস্ক ও ইজিপ্ট থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে, যাতে ঘাটতি পূরণ করা যায়। ৫ ডিসেম্বর বিজনেস টুডের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে ভারত ৩৬,০৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে ঘাটতি পূরণের জন্য। কারণ অসময়ের বৃষ্টির ফলে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
২১,০৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের মধ্যে ১৫,০০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ তুরস্ক থেকে এবং ৬,০৯০ মেট্রিক টন আসবে ইজিপ্ট থেকে। এই দুই দেশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত ১,৫০০ থেকে ২,০০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে আসা হবে আফগানিস্তান থেকে। ভারত তুরস্ক, ইউরোপীয় দেশ এবং বিশ্ব টেন্ডার থেকে অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমোদন দিয়েছে, তবে এখনও এর অর্ডার দেয়নি।
উল্লেখ্য যে মিশর থেকে আমদানি পেঁয়াজ ইতিমধ্যে বাজারে এসে গিয়েছে এবং তুরস্ক থেকে আরও আমদানি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আসবে। যদিও এটা ভাল খবর নয় দেশের পেঁয়াজ চাষীদের জন্য। কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে অতিরিক্ত আমদানি পেঁয়াজের সঙ্গে তাজা পেঁয়াজ মিশিয়ে দেওয়ার ফলে পেঁয়াজ সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত আমদানি করা হবে পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীরা ফেব্রুয়ারির আগে পেঁয়াজ বাজারে রপ্তানি করতে পারবে না। বহু বিশেষজ্ঞ এবং এপিএমসি ডিরেক্টররা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে পেঁয়াজের রপ্তানি হলে সরকার বিপরীত নীতি গ্রহণ করতে পারে, যাতে পেঁয়াজের বর্ধিত দাম না কমে যায়।
অধিকাংশ পেঁয়াজের আমদানি এ মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথম দিকে হতে পারে। দেশ আবার পেঁয়াজ উৎপাদন শুরু হলে তা সকলের জন্যই খুশির খবর হবে। কিন্তু তা এই মুহূর্তে হচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের সমস্যা হল তারা পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে লাভবান হননি এবং সরবরাহের ঘাটতি হওয়ার জন্য জানুয়ারিতেও তাঁরা কোনও টাকা পাবেন না। প্রত্যেক বছরই পেঁয়াজ কৃষকদের এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সরকারের কাছে স্থায়ী সমাধানের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় রাজ্য গুলির অনুদান কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ