কেন্দ্রের পদক্ষেপে দশ দিনে কমবে পেঁয়াজের দাম : কে ভি থমাস
পেঁয়াজের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে তাতে মাথায় হাত পড়েছে আম জনতার। এই পরিস্থিতি ক্রমশ চাপ বাড়চ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরেও। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। পেঁয়াজ ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবিরও। এই অবস্থায় কড়া পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে চলে যাবে তা ভালভাবেই জানে কংগ্রেস। তাই দায় এড়াতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার ইস্যুতে রাজ্য সরকারগুলিকে দায়ী করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার কথায়, রাজ্যগুলি পেঁয়াজ মজুত করে রাখার কারণেই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।
এদিন খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আফগানিস্তান থেকে সাড়ে পাঁচশো টন পেঁয়াজ আমদানি করা করছে ভারত। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমদানির পরিমান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও রপ্তানি বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত এখনই নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। রপ্তানির বন্ধের প্রশ্নে খাদ্যমন্ত্রীর যুক্তি, এখন রপ্তানি বন্ধ করা হলে ভবিষ্যতেও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হবে।
এদিন পরিস্থিতি পর্যালেচনায় কৃষি, খাদ্য, সড়ক পরিবহণ সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন ক্যাবিনেট সচিব। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কেন্দ্র সরাসরি কোনও আমদানি করবে না। ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপোরেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই পেঁয়াজ আমদানি করবে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে দিল্লিতে ১০০০ টন পেঁয়াজ এসে পৌছে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন থমাস। মোট পেঁয়াজের সুষম বন্টনের জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।