পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের, পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
ক্রমে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের মূল্য। এহেন পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের মূল্যের উপর লাগাম টানতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কেন্দ্র। শুক্রবার এই বিষয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয় যে কোনও খুচরো বিক্রেতা এবার থেকে ২ টনের থেকে বেশি পেঁয়াজ মজুত করে রাখতে পারবে না। এছাড়া পাইকারি বিক্রেতাদের ক্ষেত্রেও ২৫ টনের বেশি মজুত করা যাবে না পেঁয়াজ।
এই বিধইনিষেধ আপাতত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগু করা হয়েছে। এদিকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির কড়াকড়ি শিথিল করেছে কেন্দ্র। সরকার আশা প্রকাশ করেছে যে খরিফ পেঁয়াজ সম্ভবত শীঘ্রই বাজারে আসতে শুরু করবে এবং ক্রমশ বাড়তে থাকা এই দাম হয়তো কিছুটা হলেও কমবে।
পুজোর মরশুমে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১০০ টাকার গণ্ডি ছুঁয়েছে পেঁয়াজের দাম। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে এবং চন্দননগরে সপ্তমীর সকালে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কিলো দরে। মূলক কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজ যায় সারা দেশে। সে সব রাজ্যে অতিবৃষ্টির জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এর আগে সেপ্টেম্বরই দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে রফতানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই পেঁয়াজ মজুতের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় একটি নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে এই মুহূর্তে দেশের কোনও জায়গা দিয়ে পেঁয়াজ বিদেশে যাচ্ছে না।
আলুর দাম কিছুটা স্থির হলেও বেড়ে চলেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি বছরই এই সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। এ বারের প্রবল বৃষ্টির জেরে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্র-কর্নাটক থেকে নতুন করে সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু এ বারে তা সম্ভব হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।